রাজশাহীর মোহনপুর থানা পোড়ানোর মামলায় রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আওয়ামী সরকারের পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট মোহনপুর থানায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। এ নিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।

ওই মামলার এজাহারে আবুল কালাম আজাদের নাম ছিল না। তবে ‘তদন্তে প্রাপ্ত’ আসামি হিসেবে আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা পুলিশের মুখপাত্র বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আবুল কালাম আজাদ গত ২ অক্টোবর ঢাকায় র‌্যাবের হাতে আটক হয়েছিলেন। এরপর ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় বাগমারা থানায় করা দুটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। মামলা দুটিতে তিনি হাইকোর্টে জামিন পান। 

এরপর বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হলে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাকে পুনরায় আটক করেন।

এর আগে বিকেল থেকেই ছাত্রদল, যুবদল ও মহিলা দলের নেতাকর্মীরা কারাগারের সামনে অবস্থান করছিলেন। কারো কারো হাতে লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল দেখা যায়। আবুল কালাম আজাদকে ডিবি পুলিশ নিয়ে যাওয়ার সময় কারাফটকে তার ওপর হামলার চেষ্টাও হয়েছিল।

জেলা পুলিশের মুখপাত্র বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম বলেন, “আটকের পর আবুল কালাম আজাদকে মোহনপুর থানা পোড়ানোর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা চাইলে তার রিমান্ড চাইবেন।”

এমপি হওয়ার আগে আবুল কালাম আজাদ বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র ছিলেন। মেয়র থাকাকালে ঠিকাদারকে অতিরিক্ত ৩৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৬১ টাকা বিল পরিশোধ করার অভিযোগে গত ২১ জানুয়ারি কালামসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে এ মামলায় কালামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। ফলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার দুই মামলায় জামিন পেয়েই কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন আবুল কালাম আজাদ।

ঢাকা/কেয়া/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হয় ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক

চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও হামিদচর এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে লাশটি উদ্ধার হয়। পুলিশ বলছে, পরিকল্পিতভাবে মারধরের পর ওই স্কুলছাত্রকে নদীতে ফেলে দেয় তার কয়েকজন সহপাঠী। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।

নিহত স্কুলছাত্রের নাম রাহাত ইসলাম (১২)। সে নগরের চান্দগাঁও সানোয়ারা বয়েজ স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চান্দগাঁও থানার পূর্ব ফরিদেরপাড়া এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে। সকালে হামিদচর এলাকায় নদীতে রাহাতের লাশ দেখতে পেয়ে বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। এরপর তার লাশ উদ্ধার হয়।

নিহত রাহাতের বাবা লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ছেলে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে বের হয়। এরপর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক স্থানে সন্ধানের পরও খোঁজ না পেয়ে বিষয়টি রাতেই পুলিশকে জানানো হয়েছিল। সকালে ছেলের লাশ পাওয়া যায়। তিনি অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে বন্ধুরা রাহাতকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) জাহাঙ্গীর আলম আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় নিহত স্কুলছাত্রের চার সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘বাচ্চাটি যাবে না, ম্যাডাম’: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ৯ মাসের সন্তানের সঙ্গে মায়ের বিচ্ছেদ
  • প্রযোজক তার সঙ্গে রাত কাটাতে বলেন: অঞ্জনা
  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • নদীতে মিলল স্কুলছাত্রের লাশ, চার সহপাঠী আটক