জামিনে মুক্তির পর আবার গ্রেপ্তার সাবেক এমপি কালাম
Published: 30th, January 2025 GMT
রাজশাহীর মোহনপুর থানা পোড়ানোর মামলায় রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আওয়ামী সরকারের পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট মোহনপুর থানায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। এ নিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।
ওই মামলার এজাহারে আবুল কালাম আজাদের নাম ছিল না। তবে ‘তদন্তে প্রাপ্ত’ আসামি হিসেবে আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা পুলিশের মুখপাত্র বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবুল কালাম আজাদ গত ২ অক্টোবর ঢাকায় র্যাবের হাতে আটক হয়েছিলেন। এরপর ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় বাগমারা থানায় করা দুটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। মামলা দুটিতে তিনি হাইকোর্টে জামিন পান।
এরপর বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হলে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাকে পুনরায় আটক করেন।
এর আগে বিকেল থেকেই ছাত্রদল, যুবদল ও মহিলা দলের নেতাকর্মীরা কারাগারের সামনে অবস্থান করছিলেন। কারো কারো হাতে লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল দেখা যায়। আবুল কালাম আজাদকে ডিবি পুলিশ নিয়ে যাওয়ার সময় কারাফটকে তার ওপর হামলার চেষ্টাও হয়েছিল।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম বলেন, “আটকের পর আবুল কালাম আজাদকে মোহনপুর থানা পোড়ানোর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা চাইলে তার রিমান্ড চাইবেন।”
এমপি হওয়ার আগে আবুল কালাম আজাদ বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র ছিলেন। মেয়র থাকাকালে ঠিকাদারকে অতিরিক্ত ৩৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৬১ টাকা বিল পরিশোধ করার অভিযোগে গত ২১ জানুয়ারি কালামসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে এ মামলায় কালামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। ফলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার দুই মামলায় জামিন পেয়েই কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন আবুল কালাম আজাদ।
ঢাকা/কেয়া/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা
চিরসবুজ অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। আজ ৭১ বছর পূর্ণ করলেন সত্তরের দশকের অন্যতম সেরা এই অভিনেত্রী। জন্মদিন উপলক্ষে গত বছর একটি সাক্ষাৎকার দেন ববিতা। এ আলাপচারিতায় জীবনবোধ নিয়ে কথা বলেন এই শিল্পী।
জীবন নিয়ে ববিতা বলেন, “যে জীবন মানুষের কোনো উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়। মরে গেলে আমার ছেলে অনিক আমাকে অনেক মিস করবে। একমাত্র ছেলে তো, ওর কথা খুব ভাবি। ভক্তরা আমাকে কতটুকু মনে রাখবেন, জানি না।”
একটি ঘটনা উল্লেখ করে ববিতা বলেন, “এই জীবনে একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে। অনেক শিল্পীকে তা দেওয়া হয়নি, হোক তা ভারতে কিংবা বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের মেয়র আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন। সেদিন আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মান দিয়েছেন, ৬ আগস্টকে ‘ববিতা ডে’ ঘোষণা করেছেন। তার মানে আমি বেঁচে না থাকলেও দিনটা উদযাপিত হবে। এটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।”
আরো পড়ুন:
বধূবেশে অভিষেক কন্যা
জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট
মৃত্যুর কথা স্মরণ করে ববিতা বলেন, “তবে কবরে একা থাকার কথা ভাবলে হঠাৎ কেমন যেন লাগে। আরেকটা বিষয়, আমি অনেক দিন বেঁচে থাকতে চাই না। অসুখ–বিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না। আমি কারো বোঝা হয়ে বাঁচতে চাই না।”
কারণ ব্যাখ্যা করে ববিতা বলেন, “চারপাশে অনেক আত্মীয়স্বজনকে দেখেছি, দিনের পর দিন বিছানায় অসুস্থ হয়ে কষ্ট পেয়েছেন। যারা একা থাকেন, তাদের জন্য এই কষ্ট যেন আরো বেশি। তাই সব সময় এটা ভাবি, কখনোই যেন অন্যের বোঝা না হই।”
সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা ববিতার কখনো ছিল না। পরিচালক জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও প্রথমে রাজি হননি। পরে মা আর বোনের পীড়াপীড়িতে অভিনয় করেন। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারফ্লপ হয়।
পরিচালক জহির রায়হান আবারো ‘জ্বলতে সুরজ কে নিচে’ উর্দু সিনেমার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করতে বললে প্রথমে রাজি হননি ববিতা। তখন বয়স মাত্র ১৪। কিন্তু সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হওয়ার পরও শিল্পীদের শিডিউল মেলাতে না পারায় সিনেমাটি আর শেষ করা হয় না।
এরপর জহির রায়হান ববিতাকে নিয়ে বাংলা সিনেমা বানান। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারহিট হয়। অভিনয় করার ইচ্ছা না থাকলেও সিনেমা হিট হওয়ায় আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। এরপর ‘স্বরলিপি’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘টাকা আনা পাই’ সিনেমায় জুটি বাঁধেন রাজ্জাক-ববিতা। প্রতিটি সিনেমাই সুপারহিট।
ঢাকা/শান্ত