সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করাসহ প্রবাসীদের নানা সমস্যা সমাধানে দেশটির মিনিস্ট্রি অব হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড এমিরেটাইজেশনের আন্ডার সেক্রেটারি খলিল ইব্রাহিম খোরির সঙ্গে বৈঠক করেছেন দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠকে দুবাই ও উত্তর আমিরাতে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, ভিসাপ্রাপ্তি ও ট্রান্সফার সহজ করা এবং প্রবাসী কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হয়৷

সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রকৌশলী, চিকিৎসক, নার্সসহ বিভিন্ন খাতে অধিক হারে বাংলাদেশিদের নিয়োগের বিষয়ে খলিল ইব্রাহিম খোরির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কনসাল জেনারেল। এছাড়া, তিনি দুবাইসহ আমিরাতের বন্দরগুলোতে বাংলাদেশি নাবিকদের সাইন অফ/ট্রানজিট ভিসা-প্রাপ্তিতে জটিলতা নিরসনে সহযোগিতা কামনা করেন।

খলিল ইব্রাহিম খোরি কনসাল জেনারেলের কথা গুরুত্বসহকারে শোনেন এবং এসব বিষয়ে তার মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কর্মকর্তা আবুস সালাম এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনিস্ট্রি অব হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড এমিরেটাইজেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কনস ল জ ন র ল

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ