সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করাসহ প্রবাসীদের নানা সমস্যা সমাধানে দেশটির মিনিস্ট্রি অব হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড এমিরেটাইজেশনের আন্ডার সেক্রেটারি খলিল ইব্রাহিম খোরির সঙ্গে বৈঠক করেছেন দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠকে দুবাই ও উত্তর আমিরাতে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, ভিসাপ্রাপ্তি ও ট্রান্সফার সহজ করা এবং প্রবাসী কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হয়৷

সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রকৌশলী, চিকিৎসক, নার্সসহ বিভিন্ন খাতে অধিক হারে বাংলাদেশিদের নিয়োগের বিষয়ে খলিল ইব্রাহিম খোরির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কনসাল জেনারেল। এছাড়া, তিনি দুবাইসহ আমিরাতের বন্দরগুলোতে বাংলাদেশি নাবিকদের সাইন অফ/ট্রানজিট ভিসা-প্রাপ্তিতে জটিলতা নিরসনে সহযোগিতা কামনা করেন।

খলিল ইব্রাহিম খোরি কনসাল জেনারেলের কথা গুরুত্বসহকারে শোনেন এবং এসব বিষয়ে তার মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কর্মকর্তা আবুস সালাম এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনিস্ট্রি অব হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড এমিরেটাইজেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কনস ল জ ন র ল

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ