হত্যার শিকার সেন্টু চেয়ারম্যানের ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা
Published: 1st, February 2025 GMT
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ফিলিপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নঈনুদ্দিন সেন্টুর ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলমকে (৫০) কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের খাদেম দারোগার মোড়ের বাজারে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন জাহাঙ্গীর আলম। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জাহাঙ্গীর আলমের অবস্থা আশংকাজনক। সেন্টু চেয়ারম্যান হত্যাসহ চরের মাঠে মহিষের বাথান সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে লালচাঁদ বাহিনীর সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায় বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। আহত জাহাঙ্গীর আলম ফিলিপনগর গ্রামের সেন্টু চেয়ারম্যানের চাচাত ভাই মৃত মঈন সরকারের ছেলে।
আরো পড়ুন:
ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় দুই যুবককে গুলি করে হত্যা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত সবুজের লাশ উত্তোলন
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্থানীয়রা জানান, খাদেম দারোগার মোড়ের বাজারে একটি দোকানে রাতে মহিষের বাথান মালিক জাহাঙ্গীর আলম বসে ছিলেন। এ সময় দুটি মোটর সাইকেলে করে মুখবাঁধা অবস্থায় ৫-৬ জন সন্ত্রাসী এসে জাহাঙ্গীর আলমকে অস্ত্রের মুখে উঠিয়ে রাস্তার পাশে নেয়। পরে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত ভেবে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে নির্বিগ্নে চলে যায়। সন্ত্রাসীদের এমন তাণ্ডবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে বাজারের লোকজন দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর বাজারের আশপাশে অবস্থান করা লোকজন জাহাঙ্গীর আলমকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা/কাঞ্চন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ হ ঙ গ র আলম অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ