ভূমধ্যসাগরে একটি নৌকাডুবির পর লিবিয়ার ব্রেগা উপকূলে ভেসে আসছে মরদেহ। ডুবে মরে যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

নিহতের জাতীয়তা সম্পর্কে কোনো সূত্র নিশ্চিত করতে পারেনি। এ পর্যন্ত সেখানে ২০টি মরদেহ পাওয়া গেছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকেও মৃতদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি।

তবে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, স্থানীয় রেড ক্রিসেন্টের ধারণা, তারা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক।

শুক্রবার (৩১ ফেব্রুয়ারি) লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানানো যাচ্ছে, লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী ব্রেগা তীরে বেশ কয়েকজন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে বাংলাদেশ দূতাবাস বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছে। স্থানীয় উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষের মতে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি নৌকা ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়ার পর এসব মরদেহ ব্রেগা তীরে ভেসে এসেছে। উদ্ধারকৃত মরদেহগুলোর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক থাকার আশঙ্কার কথা বিভিন্ন সূত্রে জানা গেলেও, এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য দূতাবাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছে।

এ দুর্ঘটনায় মৃত, আহত বা ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের বিষয়ে যে কোনো তথ্য জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা যাচ্ছে। তথ্য জানাতে ফেসবুক কমেন্টে অথবা দূতাবাসের নিম্নোক্ত দাপ্তরিক মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে: +২১৮৯১৬৯৯৪২০২ এবং +২১৮৯১৬৯৯৪২০৭।

নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তবে দূতাবাস এখনো ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য ছাড়পত্র পায়নি বলে জানা গেছে।

এদিকে, লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবির ঘটনায় ২০ বাংলাদেশি মারা গেছেন। তবে আমরা এখনো চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত নই। এ বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।

বেশ কয়েকটি সূত্র জানায়, গত ২৪ জানুয়ারি লিবিয়া উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগরে হয়ে একটি নৌকা ইতালির উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়। ওই নৌকায় অনেক বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন। নৌকাটি ডুবে গিয়ে লাশ ভেসে আসছে লিবিয়া উপকূলে। তবে ওই নৌকায় ঠিক কতজন বাংলাদেশি ছিলেন, তা এখনো জানা যায়নি।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য মরদ হ উপক ল

এছাড়াও পড়ুন:

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা

অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সদ্যসমাপ্ত ২০২৩-২৫ আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দীর্ঘ ২৭ বছরের ট্রফি খরা কাটিয়ে বিশ্বমঞ্চে ফিরেছে প্রোটিয়ারা। সেই চক্র শেষ হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে নতুন মিশন।

আগামী ১৭ জুন গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেই শুরু করবে ২০২৫-২০২৭ চক্র। নতুন এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ছয়টি সিরিজ খেলবে প্রতিটি দল। তিনটি ঘরের মাঠে, তিনটি বিদেশে। বাংলাদেশ খেলবে সর্বমোট ১২টি টেস্ট ম্যাচ, যা এই চক্রে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।

দেশ ছাড়ার আগে এই নতুন চক্র নিয়ে আশাবাদী ছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এই চক্রে অন্তত তিন কিংবা চার নম্বরে থাকতে চাই।’

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শুরু থেকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল ওঠানামার। প্রথম দুই চক্রে (২০১৯-২১ ও ২০২১-২৩) একটি করে ম্যাচ জিতেছিল টাইগাররা। তবে ২০২৩-২৫ চক্রে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। ১২ ম্যাচে ৪টি জয়, তার মধ্যে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ জয়ের স্মরণীয় কীর্তিও আছে। তিন চক্র মিলিয়ে বাংলাদেশের মোট জয় এখন ৫, ড্র ২ এবং হার ২৪ ম্যাচে।

আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন দল। ২৫ জুন কলম্বোয় শুরু দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এটিই প্রথম সিরিজ।

নতুন চক্রে ২০২৫ সালে বাংলাদেশ একটি সিরিজই খেলবে। আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন দল। ২৫ জুন কলম্বোয় শুরু দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। ২০২৬ এর মার্চে ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে আতিথেয়তা দিবে বাংলাদেশ। অক্টোবরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে সিরিজ ও  ২০২৭ এর ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ