টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন যৌথ অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা সেই সাতটি ইটভাটা তৃতীয়বারের মতো গুঁড়িয়ে দিয়েছে। গতকাল সোমবার উপজেলার গোড়াই ও বহুরিয়া ইউনিয়নের মীর দেওহাটা, বহুরিয়া ও পাথালিয়াপাড়ায় এ অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ইউএনও এ বি এম আরিফুল ইসলাম।
দুই মাসের ব্যবধানে তৃতীয়বারের মতো ইটভাটাগুলোয় অভিযান চালালো পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন। গত ১২ ডিসেম্বর প্রথম অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর। সে সময় ভাটাগুলোকে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা ও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ৯ জানুয়ারি অভিযান পরিচালনা করে ভাটাগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এর পরও ইটভাটার মালিকরা নির্দেশ অমান্য করে ফের চিমনি বসিয়ে ইট পোড়ানোর কার্যক্রম শুরু করেছিল। সর্বশেষ গতকাল সোমবার তৃতীয়বারের মতো ভাটাগুলো অভিযান চালানো হলো। পাশাপাশি দুই ভাটাকে ৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানের সময় জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিঞা মাহমুদুল হক, সহকারী পরিচালক সজীব কুমার ঘোষ, পরিদর্শক বিপ্লব কুমার সূত্রধর, সেনাবাহিনীর ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে বাটা ব্রিকস, নিউ সরকার, হক, নিউ রমিজ, বিঅ্যান্ডবি, সান ও রান ব্রিকস নামে 
সাতটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় প্রয়োজনীয় কাগজ না থাকায় এইচএসবি ব্রিকসকে ২ লাখ এবং হাকিম ব্রিকসকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ বি এম আরিফুল ইসলাম বলেন, নির্দেশ অমান্য করায় সাত ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় দুটি ভাটাকে জরিমানা করা হয়েছে ৭ লাখ টাকা। 
অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইটভ ট ইটভ ট উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে সারের দাবিতে সড়কে কৃষকদের বিক্ষোভ

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় সারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। এসময় তারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেন। 

রবিাবর (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ২টার দিকে উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর সড়ক অবরোধ করেন কৃষকরা। একপর্যায়ে তারা ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সারোয়ার তৌহিদকে অবরুদ্ধ করেন। বিকেল ৫টার দিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপ জন মিত্রের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন কৃষকরা।

আরো পড়ুন:

বাগেরহাটে হরতাল কর্মসূচিতে পরিবর্তন

ফরিদপুরে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ, ভোগান্তি চরমে

আন্দোলনরত কৃষকরা জানান, তীব্র সার সংকট দেখা দিয়েছে। রোপা আমন ধানে সার দিতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা। 

ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ জানান, কৃষকরা বিকেল ৫টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইউএনও দীপ জন মিত্র জানান, কৃষকরা কেন সার পাচ্ছেন না, সেটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাবনায় পুলিশ দেখে পালালেন শিকারিরা, উদ্ধার ৪৫টি ঘুঘু অবমুক্ত
  • শেরপুরে বেশি দামে সার বিক্রি: ২ ব্যবসায়ীকে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা
  • কুড়িগ্রামে সারের দাবিতে সড়কে কৃষকদের বিক্ষোভ