৬৪০ কোটি টাকায় নির্মাণ হবে দুটি করে বাফার গুদাম ও সেতু
Published: 4th, February 2025 GMT
সার সংরক্ষণের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে বাফার গুদাম নির্মাণ এবং শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর কদমরসুল সেতু ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার পান্ডব নদীর ওপর ৬৭৮.৪০ মিটার সেতু নির্মাণের পৃথক তিনটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৪০ কোটি ৩৬ লাখ ২২ হাজার ২৫৪ টাকা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড.
সভা সূত্রে জানা যায়, ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণের সুবিধার্থে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৩৪টি বাফার গুদাম নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় মাগুরায় একটি ও চাঁদপুরে একটি বাফার গুদাম নির্মাণের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। এ দুটি বাফার গুদাম নির্মাণের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে চারটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব জমা দেয়। তার মধ্যে দুটি প্রস্তাব আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) এআইএল এবং (২) এলসিএল, ফরিদপুর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১২৮ কোটি ২১ লাখ ৮৮ হাজার ২৫৪ টাকা।
‘নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৫ নম্বর গুদারাঘাটের কাছে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর কদমরসুল ব্রিজ নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে চারটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দেয়। চারটি প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) জিবিসি; এবং (২) জিএসডিসি, চায়না প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৩৯৪ কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৭৭৮ টাকা।
‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় পান্ডব নদীর উপর ৬৭৮.৪০ মিটার সেতু নির্মাণের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্প বাস্তবায়নে দরপত্র আহ্বান করা হলে তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দেয়। তার মধ্যে দুটি কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) মো. মঈনুদ্দিন লিমিটেড, (২) মেসার্স হামীম ইন্টারন্যাশনাল এবং (৩) মো.রাশেদউজ্জামান সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প র
এছাড়াও পড়ুন:
৮৮৮ কোটি টাকার সার ও ফসফরিক এসিড কিনবে সরকার
দেশের কৃষি খাতে ব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে পৃথক ৫টি চুক্তির আওতায় এক লাখ মেট্রিক টন বিভিন্ন ধরনের সার ও আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে সার উৎপাদনে ব্যবহারের জন্য ৪০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৮৮৮ কোটি ১৯ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় প্রস্তাব ২টিতে অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় সৌদি আরব থেকে দ্বিতীয় লটে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি (ডাই এ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
সৌদি আরব থেকে ডিএপি সার আমদানি করা হবে। এতে আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৯৮ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ডিএপি সারের দাম পড়বে ৬১১ মার্কিন ডলার। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বিএডিসি থেকে ডিএপি সার আমদানির লক্ষ্যমাত্রা ৮.৭৯ লাখ মেট্রিক টন; এ পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৩.৬৯ লাখ মেট্রিক টন।
সভায় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশ এর কাছ থেকে ১২তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাফকো, বাংলাদেশ থেকে ৫.৪০ লাখ মে. টন ইউরিয়া সার ক্রয়ের সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ১২তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের জন্য প্রাইস অফার পাঠানোর অনুরোধ করা হলে কাফকো, বাংলাদেশ প্রাইস অফার পাঠায়। কাফকোর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সারের মূল্য নির্ধারণ করে ১২তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার প্রতি মেট্রিক টন ৩৮৯.৭৫ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ১৬ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪২ কোটি ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
সূত্র জানায়, সৌদি আরব থেকে ১৬তম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। প্রতি মেট্রিক টন ৩৯৫.১৬ মার্কিন ডলার হিসাবে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ১৮ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪৪ কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজার ৬০০ টাকা।
এছাড়া, সভায় চট্রগ্রামের ডিএপিএফসিএল-এর জন্য ২০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানির একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ডিএপি সার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল ফসফরিক এসিড বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স সান ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই, ইউএই এই ২০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড সরবরাহ করবে। প্রতি মেট্রিক টন ফসফরিক এসিডের দাম ৬৩৩.৪২ মার্কিন ডলার হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় মোট ব্যয় হবে ১৫২ কোটি ২ লাখ ৮ হাজার টাকা।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের ডিএপিএফসিএল’র জন্য ২০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এর জন্য আন্তর্জাতিক উম্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে মাত্র ১টি দরপত্র জমা পড়ে। প্রস্তাবটি কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি থেকে সুপারিশকৃত রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স সান ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই, ইউএই এই সার সরবরাহ করবে। এতে ব্যয় হবে ১৫০ কোটি ৭৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪০০ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত/ইভা