যেখানে মানসিক শান্তি পাব না, সেখানে দেশের জন্য কীভাবে পারফর্ম করব: সুমাইয়া
Published: 5th, February 2025 GMT
‘হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছি’– মঙ্গলবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় নারী ফুটবলার মাতসুশিমা সুমাইয়ার এমন স্ট্যাটাস ক্রীড়াঙ্গনে আলোড়ন তুলে। সম্প্রতি হুমকি দেওয়াসহ নারী ফুটবলারদের আন্দোলনের বিষয়গুলো নিয়ে সমকালের সঙ্গে কথা বলেছেন মাতসুশিমা সুমাইয়া।
তিনি বলেন, আমার বাবার সঙ্গে ফাইট করে বসুন্ধরা কিংসে ট্রায়াল দিয়েছিলাম। সে সময় তিনি বলেছিলেন, তুমি এখানে (বাংলাদেশ) খেল না, এখানে খেললে ভালো হবে না। তুমি বিদেশে খেল। বাংলাদেশে তোমাকে কিন্তু খেলতে দেবে না। কিন্তু আমি আমার মায়ের সঙ্গে লুকিয়ে পাসপোর্ট বানাই। কিংসে ট্রায়ালে টেকার পর মালদ্বীপেও লিগ খেলেছি। এখন আমার নামে কত উল্টাপাল্টা লেখা হচ্ছে। পারফরম্যান্স না থাকা সত্ত্বেও আমাকে নাকি টিমে রাখা হয়েছে সাবিনা খাতুনের জন্য। আমার যদি পারফরম্যান্স না থাকত, তাহলে কোচ (পিটার বাটলার) বাদ দেওয়ার তালিকায় আমার নাম রাখতেন।
নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ আপনাদের ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। তার পরও নমনীয় হলেন না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে মাতসুশিমা সুমাইয়া বলেন, যেখানে আমরা মানসিক শান্তি পাব না, সেখানে আমরা কীভাবে খেলে দেশের জন্য পারফর্ম করব? বারবার কেবল টিকটকের বিষয়টি সামনে আনা হচ্ছে। আমি সারাজীবন বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করেছি। এখানে আসার পর ঈদটা ক্যাম্পে করতে হয়েছে; কারণ আমার দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। আমরা যদি অবসর সময়ে একটা ভিডিও বানাই, তাতে সমস্যা কী? ঠোঁটে লিপবাম দেওয়া নিয়েও তাঁর (বাটলার) আপত্তি। ঠোঁট শুকিয়ে গেলে লিপবাম দেব না? ভুটানের সঙ্গে ম্যাচের আগে আমি নিজে শুনেছি সানজিদা-সাগরিকাকে কোচ বলেছেন– তোমরা কি এখানে মডেলিং করতে এসেছো? আপনি দেখেন, ব্রাজিলের নারী ফুটবলার মার্তা, তিনি লাল লিপস্টিক দিয়ে মাঠে নামেন। আমরা তো লিপবাম দিই। খেলতে খেলতে দৌড়াতে দৌড়াতে ঠোঁট শুকিয়ে যায় আমাদের। আবার মাথায় ব্যান্ড দিলেও আপত্তি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৪৭ দিন ক্যাম্পে থেকে ১০–১২ দিন অনুশীলন, হতাশ ক্রিকেটাররা
টানা খেলার ধকল কাটাতে জাতীয় দল এখন বিশ্রামে। ‘এ’ দল ও হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের অনুশীলন হচ্ছে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে। তবে দুই দল মিলিয়ে প্রায় ৪০ জন ক্রিকেটারের অনুশীলনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিকূল আবহাওয়া। বৃষ্টির কারণে অনুশীলন করতে না পারায় ক্রিকেটারদের মধ্যেও হতাশা কাজ করছে।
১০ জুন প্রধান কোচ ডেভিড হেম্পের তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামে ক্যাম্প শুরু করে এইচপি। চট্টগ্রাম থেকে একটি সূত্র জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৪৭ দিনে সব মিলিয়ে মাত্র ১১ থেকে ১২ দিন মূল মাঠে অনুশীলন করা গেছে। অন্য সময় ভাগে ভাগে স্কিল অনুশীলন ও ফিটনেস নিয়ে কাজ হয়েছে ইনডোরে। তবে ইনডোরে টার্ফ বসানোর কাজ চলায় সেখানেও বিরতি দিতে হয়েছে।
আরও পড়ুনবিসিবির আমন্ত্রণে মাহমুদউল্লাহর ‘না’২৪ জুলাই ২০২৫হাই পারফরম্যান্স দলের ম্যানেজার জুনায়েদ চৌধুরীর দাবি অবশ্য ভিন্ন। তিনি বলেছেন, তাঁরা ২৪-২৫ দিন মূল মাঠে অনুশীলন করেছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এইচপির একাধিক ক্রিকেটার প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে তাঁরা বেশির ভাগ দিনই অনুশীলন করতে পারেননি। জাতীয় দলের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে এটি তাঁদের জন্য বড় সুযোগ। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে অুশীলন করতে না পারায় তাঁদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে।
প্রতিকূল আবহাওয়ায় চট্টগ্রামে এইচপি দলকে ঠিকমতো অনুশীলন করতে দেয়নি