দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ৬ দশমিক ২ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বুধবার  দেশটির উত্তর মালুকু উপকূলে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি এবং সুনামির আশঙ্কাও নেই বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

ইন্দোনেশিয়ার ভূ-পদার্থবিদ্যা সংস্থা এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে জানায়, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৮১ কিলোমিটার (৫০ মাইল)। ভূমিকম্পের পর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রশান্ত মহাসাগরের তথাকথিত ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত হওয়ায় ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা দেখা যায়। টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষের ফলে দেশটিতে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়ে থাকে।

২০০৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার পাদাংয়ে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১ হাজার ১০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে এবং বহু মানুষ আহত হয়। এছাড়া অসংখ্য ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যায়।

তারও আগে, ২০০৪ সালে সুমাত্রার উপকূলে ৯ দশমিক ১ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর সুনামি আঘাত হানে। এতে ইন্দোনেশিয়ায় ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

শুধু ইন্দোনেশিয়াই নয়, ভূতাত্ত্বিক অবস্থানের কারণে জাপানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোও ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব অঞ্চলে ভূমিকম্পের প্রভাব কমাতে আগাম সতর্কতা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি আরও জোরদার করা প্রয়োজন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ ম কম প ইন দ ন শ য় ভ ম কম প র

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ