হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণে সভা অনুষ্ঠিত
Published: 5th, February 2025 GMT
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে ভূমির স্থান পুনঃবিবেচনার লক্ষ্যে অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডমিতে এ অংশীজন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক ড. মো. ফরিদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মাসুমের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
সভায় মতামত ব্যক্ত করেন, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুল হাই, জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবুল ফয়েজ মো. খায়রুল ইসলাম, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সৈয়দ জাদিল উদ্দিন আহম্মেদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দলোনের (বাপা) হবিগঞ্জ শাখার সভাপতি অধ্যাপক ইকরামুল ওয়াদুদ, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল।
আরো মতামত দেন, বিএনপির হবিগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম-আহবায়ক হাজী এনামুল হক, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর হবিগঞ্জ জেলা আমীর কাজী মাওলানা মখলিছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কাজী মহসিন আহমদ, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি শামসুল হুদা, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বাবুল, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান, শোয়েব চৌধুরী প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ স্কেচ ম্যাপ ও গুগল ম্যাপের সহায়তায় সম্ভাব্য সাতটি স্থানের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য উপস্থাপন করেন। এরপর উপস্থিত অংশীজনরা সম্ভাব্য স্থানগুলো নিয়ে মতামত প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসক ড. মো, ফরিদুর রহমান বলেন, “অংশীজনদের মতামত বিবেচনায় নিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি শেষে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভূমি চূড়ান্ত করা হবে। এ ক্ষেত্রে হবিগঞ্জবাসীর মতামতের প্রাধান্য যেমন দেওয়া হবে, বিশেষজ্ঞদের মতামতের মাধ্যমে একটি আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাতে এ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে পারে তেমন ভূমিই নির্বাচন করা হবে।”
ঢাকা/মামুন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০
বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।