হিজাব সভ্যতার একটি উপাদান বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

তিনি বলেন, “পশ্চিমা বিশ্বের একজন নারী অধিকার কর্মী একটা বক্তব্য শোনার পর আমার মধ্যে নতুন একটা বোধের সৃষ্টি হয়। তিনি বলেছেন, ‘মানব সভ্যতার বিকাশের সাথে কাপড় পরিধানের এক বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। অর্থাৎ সভ্যতার পূর্ব যুগে মানুষ কাপড় পরিধান করতো না।’ যখন আমরা বলি আমরা সভ্য হয়েছি, এর মানে আমরা কাপড় পরা শিখেছি।”

তিনি আরো বলেন, “কেউ যদি কাপড়ের পরিমাণ নির্ধারণ করতে গিয়ে হিজাবটাকে সংযুক্তি করে, তাহলে এটা কীভাবে সভ্যতার পরিপন্থি হয়? হিজাব শুধু নারীদের অধিকার নয়, এটা সভ্যতার একটি উপাদানও বটে।”

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক হিজাব দিবস উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ‘হিজাব র‍্যালি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। র‌্যালি শেষে আয়োজিত সমাবেশ উপাচার্য এসব কথা বলেন।

কুরআন অ্যান্ড কালচারাল স্টাডি ক্লাবের (ফিমেল সেকশন) আয়োজনে বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবন থেকে র‍্যালি শুরু হয়। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, “মায়ের দুধ পান করা যেমন সন্তানের অধিকার, ঠিক তেমনি হিজাবকে ধারণ করা আমাদের অধিকার। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এটা আমাকে বলতে হবে কেন? অধিকার হরণ করতে করতে পৃথিবীর নিয়ম এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, সেটাকে স্মরণ করে দিতে হচ্ছে। আমি শুধু এইটুকুই বলব, হিজাব পরা যেমন আমার মা-বোনদের অধিকার, তেমনি সে অধিকার নিশ্চিত করা আমাদেরও দায়িত্ব।”

সমাবেশে অন্যদের মাঝে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শামীমা নাসরিন জলি, দর্শন ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা বক্তব্য প্রদান করেন।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো: আনু মুহাম্মদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো। আইএমএফের প্রভাবে বাজেটে স্থানীয় শিল্পে ভ্যাট অব্যাহতি হ্রাস পেয়েছে। ট্রাম্প সাহেবকে খুশি করার চেষ্টা ছিলো এই বাজেটে। 

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি আয়োজিত ‘বাজেট: দেড় দশকের অভিজ্ঞতা ও অর্থনীতির গতিপথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আনু মুহাম্মদ বলেন, বাজেটে আয়ের জন্য ভ্যাট ট্যাক্স বাড়ানোর কথা বলা হয়। কিন্তু মার্কিন কোম্পানির কাছে আমাদের যে ক্ষতিপূরণ তা আদায় করতে হবে। মাগুরছড়া ও টেংরাটিলায় গ্যাস বিস্ফোরণে সম্পদ ও প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংসে যে ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ আদায়ের কোন সরকারই চেষ্টা করেনি। এই ক্ষতিপূরণ আদায় অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ডিপি ওয়ার্লডের কাছে ছেড়ে দেওয়া তো শেখ হাসিনার প্রকল্প ছিল। ড. ইউনুস কেন তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইছেন? 

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য আনু মুহাম্মদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানে পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে, বর্তমান সরকারের বাজেটে সেই পরিবর্তনের সূচনা ঘটানোর কথা নেই। সম্পদ সংখ্যাগরিষ্ট জনগণের কাছ থেকে গিয়ে কিছু মানুষের কাছে পুঞ্জীভূত হয়। এবারের বাজেটেও সেই প্রবণতা দেখা গেছে।

তিনি আরও বলেন, এবারের বাজেটে প্রতারণা ও অস্বচ্ছতার যে চিত্র ফুটে উঠেছে, সেটা অব্যাহত থাকুক আমরা চাই না। আগামী ২২ জুন বাজেট অনুমোদনের আগে এর ত্রুটিগুলো দূর করতে হবে। বাজেটে জাতীয় সক্ষমতা সৃষ্টির ন্যূনতম উদ্যোগ নিতে হবে।

সভায় আইইউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ার ড. গোলাম রসুল বলেন, সত্যিকার অর্থে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এই বাজেটে তেমন কিছু নেই। কৃষিক্ষেত্রে বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে। কৃষিকে আমরা নানাভাবে আন্ডার ভ্যালু করে দিচ্ছি। স্বাস্থ্যখাতে এবার জনপ্রতি বাজেট বেড়েছে ২২ টাকা।

ট্রাম্পের পালটা শুল্ক বিষয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকার বুঝেও না বুঝার ভান করছে। এটা আমাদের বিশাল বিপদে ফেলবে। 
সভায় আরও বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহা মির্জা,  চিকিৎসক ডা. হারুণ অর রশীদ, লেখক-গবেষক প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা ও মাহতাব উদ্দীন আহমেদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫ আসামিকে বাদ দিতে হলফনামা, বাদী কৃষক দল নেতাকে শোকজ
  • এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো: আনু মুহাম্মদ