লোহাগাড়ায় মুঠোফোনে ভিডিও করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে স্কুলছাত্র নিহত
Published: 6th, February 2025 GMT
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মাদ্রাসার বার্ষিক সভার অনুষ্ঠানে মুঠোফোনে ভিডিও করার সময় কিশোর-তরুণদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক কিশোর নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের তাঁতীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুমিনুল হক (১৭) ওই ইউনিয়নের নালারকুল এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। সে পুটিবিলা উচ্চবিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ত। গুরুতর আহত মো.
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে বাড়ির পাশের একটি মাদ্রাসার বার্ষিক সভায় দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় ছুরিকাঘাতে মুমিনুল গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লোহাগাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রীতিপূর্ণা হৈমন্তিকা দাশগুপ্তা প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত ১০টার দিকে মুমিনুল নামের এক কিশোরকে হাসপাতালে আনেন স্থানীয়রা। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। তার বুকে ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এরপর পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আরিফুর রহমান জানান, মাদ্রাসার বার্ষিক সভা উপলক্ষে সেখানে ছোটখাটো মেলা বসেছিল। সেখানে কিশোর-তরুণেরা টিকটক করার জন্য ভিডিও করছিল। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও সংঘর্ষ হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’