অভিনেতা-নির্মাতা পরমব্রত চ্যাটার্জির প্রেমিকাদের তালিকা মোটেও ছোট নয়। তবে একটি সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিলেন; আর সে কথাই স্বীকার করলেন এই নায়ক। 

কয়েক দিন আগে মুক্তি পেয়েছে পরমব্রত পরিচালিত ‘এই রাত তোমার আমার’ সিনেমা। এর গল্প গড়ে উঠেছে বৃদ্ধ দম্পতির কাহিনি নিয়ে। দাম্পত্য সম্পর্কের নানা রসায়নের কথা বলেছেন এই নির্মাতা। নিজের নির্মিত সিনেমার গল্প বর্ণনা করতে গিয়ে ব্যক্তিগত জীবন তুলে ধরেন ‘বাইশে শ্রাবণ’খ্যাত এই অভিনেতা।

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পরমব্রত চ্যাটার্জি বলেন, “লম্বা সময় সম্পর্কে থেকেছি।১১ বছর একটা সম্পর্কে ছিলাম। আমার মনে হয়, সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, একটা সময়ের পর শরীরের মোহটা চলে যায়। একটা সময়ের পর হানিমুন পিরিয়ড চলে যায়।”

ব্যাখ্যা করে পরমব্রত চ্যাটার্জি বলেন, “সব চেনা হয়ে যায় অন্য মানুষটার। অন্তত আমরা মনে করি, অন্য মানুষটার শরীর-মন চেনা হয়ে যায়। তাদের প্রাত্যহিক যে অভ্যাসগুলো সেটার সঙ্গেও পরিচিত হয়ে যাই। তার বাথরুমে কতটা সময় লাগে, বাথরুমে থাকলে বাইরে থেকে কতটা আওয়াজ পাওয়া যায় সবটাই জানা হয়ে যায়। সেই সময় ভালোবাসা, প্রেম জিনিসটা অন্য এক মানে পায়। এটা আমার বিশ্বাস। আর সেটা যথাযথভাবে উদযাপন করা হয় না। ইয়ং লাভ বিষয়টা ভীষণ আকর্ষণীয়। ওটা যতটা উদযাপিত হয় এটা হয় না। কিন্তু এই দুটো বুড়ো মানুষের মধ্যে প্রেমও কিন্তু ততটাই আকর্ষণীয়।”

অতীত ভুলে পিয়া চক্রবর্তীর গলায় মালা পরিয়েছেন পরমব্রত। ২০২১ সালে পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন সংগীতশিল্পী অনুপম রায়। ওই সময়ে গুঞ্জন উঠেছিল, পরমব্রতর সঙ্গে পরকীয়ার কারণে অনুপমের সংসার ভেঙেছে। যদিও তা অস্বীকার করেন পরমব্রত। কিন্তু ২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর সেই পিয়ার গলায় মালা পরিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তবে সব সমালোচনা পেছনে ফেলে দাম্পত্য জীবন দারুণ উপভোগ করছেন এই নায়ক।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ