রাজশাহীর বাঘায় সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আড়ানী পৌর এলাকার চকসিংগা মহল্লায় অবস্থিত বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। এ ছাড়া উপজেলার মণিগ্রাম ইউনিয়নের সাফারি গ্রামে শাহরিয়ার আলমের ট্রেনিং সেন্টারে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ৫০ থেকে ৬০টি মোটরসাইকেলে প্রায় দেড় শ লোক এসে বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক জসিম উদ্দিন এ সময় পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁরা হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আপনারা চলে যান, তা ছাড়া আপনাদের অসুবিধা হবে।’ এরপর তারা বাড়িতে হামলা চালিয়ে দরজা-জানলা ভাঙচুর করে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তারপর পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায় তারা।

এই বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে বাঘা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন হলেও তারা প্রথমে আগুন নেভাতে আসতে পারেনি। স্থানীয় লোকজন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুন নেভানোর জন্য আসার প্রস্তুতি নিলে হামলাকারীরা তাঁদের বাধা দেয়। এ জন্য তাঁরা সময়মতো আগুন নেভাতে আসতে পারেননি। ততক্ষণে আগুন চারতলা বাড়ির তিন তালায় উঠে যায়।

আগুন লাগানোর প্রায় আধা ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করেন। প্রায় একই সময়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে চলে আসে। তখন দেখা যায়, বাড়ির চারটি এসি পুড়ে গেছে। বাড়ির ২২টি ফ্যান আগুনে পুড়ে বাঁকা হয়ে গেছে। একটি ফ্যান খুলে নিচে পড়ে গেছে। দুটি জেনারেটরসহ বাড়ির আসবাবপত্র আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের বাঘা স্টেশন অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, বেলা একটার মধ্যে তারা আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম আছাদুজ্জামান বলেন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাসার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আমরা যে চূড়ান্ত পরিবর্তন চেয়েছিলাম, তা সম্ভব হয়নি: আসিফ মাহমুদ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ১/১১ প্রতিষ্ঠা করতে না পারলেও নানাভাবে এই সরকারকে বাধা দেওয়া হয়েছে। ফলে আমরা যে চূড়ান্ত পরিবর্তন চেয়েছিলাম, তা সম্ভব হয়নি। তবে সুংসবাদ, আজ থেকে তিনদিন পর, ৫ আগস্ট আমরা জুলাই সনদ ঘোষণার সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছি।

শনিবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে ‘রিবিল্ডিং দ্য ন্যাশন: বাংলাদেশ ২.০’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে বড় পরিবর্তন জনগণের মধ্যে হয়েছে, তা হলো রাজনৈতিক সচেতনতা। যে প্রেক্ষাপটে গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে, জুলাই সনদের ঘোষণাপত্র সেটিকে জাস্টিফাই করে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সেন্ট্রাল কানেক্টিং পয়েন্ট, পরবর্তীকালে অনেকেই এই ব্যানারটিকে মিস ইউজ করেছে। যে জায়গা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে সাধুবাদ। তবে আমি প্রত্যাশা করবো, তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা রাখবে।’’

গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মরদেহ সম্পর্কে উপদেষ্টা আসিফ মাহমদু বলেন, ‘‘৬টি মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আছে। হয়তো বেশিদিন রাখা সম্ভব হবে না। তাদের ডিএনএ স্যাম্পল রাখা হবে। তাদের পরিবার যোগাযোগ করে নিয়ে যেতে পারবেন। আগামী ৪ আগস্ট তাদের দাফন করা হবে।’’

‘‘ডিএনএ টেস্ট করে গণকবরে যারা সমাহিত হয়েছেন, তাদের শনাক্ত করা হবে এবং তাদের পরিবারের কেউ নিয়ে যেতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো’’, যোগ করেন তিনি। 

ঢাকা/রাহাত//

সম্পর্কিত নিবন্ধ