মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর
Published: 6th, February 2025 GMT
মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ একদল ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ভাঙচুর করে তারা। এর আগে শহরের পুরান বাজার এলাকায় একত্রিত হয়ে মিছিল বের করে স্থানীয় ছাত্র-জনতা।
বিক্ষুব্ধদের দাবি, স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে এটি তাদের কঠোর কর্মসূচি। স্বৈরাচার ও তাদের দোসররা আবারও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি দিচ্ছে। আবারও তারা স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাই প্রতিবাদী জনগণ স্বৈরাচারের চিহ্ন মুছে দিতে এই আয়োজন করেছে। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দেয় বিক্ষুব্ধরা।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহাদাত হাওলাদার, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ফারুক বেপারী, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান ফুকু, শ্রমিকদল নেতা সেলিম মুন্সী, ছাত্রদল নেতা নাজমুল হাসান মিলনসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান ফুকু বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার বিগত ১৭ বছর হত্যাসহ নির্যাতন চালিয়েছে। তার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আজকের ছাত্র জনতা শেখ হাসিনা, শেখ মুজিবের বিভিন্ন জায়গায় ম্যুরালসহ বিভিন্ন স্থাপনা চাইতেছে না। তাই সব ভেঙে দিয়েছে। যতদিন তাদের চিহ্ন থাকবে ততদিন যুবদল ছাত্রদল রাজপথে থাকবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত