ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে অংশগ্রহণ নিতে চলতি সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ১১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান উপস্থিত থাকবেন। ১২তম এই আসরের প্রতিপাদ্য- ‘ভবিষ্যতের সরকার গঠন’।

সম্মেলনে ৮০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা, ১৪০টি সরকারি প্রতিনিধি দল, ৬ হাজারের বেশি অংশগ্রহণকারী ও শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত থাকবেন। আয়োজকদের প্রত্যাশা, গত বছরের তুলনায় এবারের আসরে উপস্থিতি বাড়বে ৫০ শতাংশের বেশি।

জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী সরকারগুলোকে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য। যা সকলের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সরকারি অগ্রগতিতে ন্যায়সম্মত উন্নয়নে উৎসাহিত করে। সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, মিডিয়া, বিমান চলাচল, পরিবহন ও পর্যটন সহ গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক খাতের উপর আলোচনা করবেন।

ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করলেও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর এবারই প্রথম দেশটিতে যাচ্ছেন ড.

মুহাম্মদ ইউনূস। যে কারণে তার এই সফর ঘিরে প্রত্যাশাও দীর্ঘ হচ্ছে সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের। প্রবাসীরা বলছেন, সরকার প্রধানের এই সফর নানাকারণে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে দুই দেশের আলোচনার মাধ্যমের ভিসা জটিলতা নিরসনসহ বাণিজ্যিক সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
 
দুবাইয়ের ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবল মার্কেটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আজিম তালুকদার বলেন, যেহেতু আমিরাতের উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে তার বৈঠক হবে; আমাদের আশা- সেখানে তিনি বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতার বিষয়টি তুলে ধরে নিরসনের উদ্যোগ নেবেন।

শারজাহ প্রবাসী ব্যবসায়ী ও সংগঠক শাহাদাত হোসেন বলেন, আমিরাতে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা আছে। বাংলাদেশি ব্যবসায়িরাও তাদের প্রতিষ্ঠানে দেশীয়  শ্রমিক নিতে চান। কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে ভিনদেশী শ্রমিক দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে হচ্ছে। শ্রমিক ভিসার সমাধান করা গেলে আমাদের রেমিট্যান্স বাড়বে।

এর আগে গত মাসে দুবাই কালচার অ্যান্ড আর্টস অথরিটির চেয়ারপার্সন শেখ লতিফা বিনতে মুহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সামিটে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম র ত ব যবস সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ