টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে ইলন মাস্ক
Published: 8th, February 2025 GMT
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে ইলন মাস্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে বিতর্ক চলছে। এরই মধ্যে টাইম ম্যাগাজিনের সাম্প্রতিক প্রচ্ছদে ইলন মাস্ককে হোয়াইট হাউসের রেজলুট ডেস্কের পেছনে বসানো হয়েছে। এই প্রচ্ছদ ট্রাম্পকে ক্ষুব্ধ করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। খবর সিএনএনের
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি’ (ডিওজিই) এর প্রধান হিসেবে মাস্ককে যে নজিরবিহীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তা এখন আদালতে মামলার কারণে কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে তার নীতি বাস্তবায়নের ফলে লাখ লাখ সরকারি কর্মী চাকরির অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।
টাইম-এর প্রচ্ছদে মাস্কের উপস্থিতি ট্রাম্পের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে, কারণ তিনি বরাবরই এই ম্যাগাজিনের কভার পেজকে সম্মানের প্রতীক হিসেবে দেখেন। ২০২৪ সালে ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হওয়া ট্রাম্প ইতিপূর্বে তার নিজের নামে একটি জাল টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ বানানোর জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মজা করে বলেন, ‘টাইম ম্যাগাজিনের কি এখনো ব্যবসায় টিকে আছে? আমি জানতাম না!’
টাইম–এর কভার কোনো উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক ব্যক্তিত্বকে ট্রাম্পের ছায়ার বাইরে আলাদাভাবে উপস্থাপন করার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০১৭ সালে ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে তৎকালীন প্রধান কৌশলবিদ স্টিভ ব্যাননকে ‘দ্য গ্রেট ম্যানিপুলেটর’ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’