রাজবাড়ীতে পদ্মায় নেমে শিক্ষার্থী নিখোঁজ
Published: 8th, February 2025 GMT
রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে মো. আসিফ মুস্তাহিদ (১৪) নামে এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছেন। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজবাড়ীর গোদার বাজার এলাকার পদ্মা নদীতে নিখোঁজ হয় সে।
নিখোঁজ আসিফ রাজবাড়ী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ধুঞ্চি গোদার বাজার গ্রামের মো. আবুল পালাম আজাদের ছেলে। সে শহরের ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আসিফের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের লিডার মো.
আরো পড়ুন:
রুয়েটে প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ১৬ শিক্ষার্থী
রাজশাহী কলেজে ‘বিন্দু থেকে সিন্ধু’
তিনি আরো বলেন, “ফায়ার সার্ভিসের ৬ সদস্যের ডুবুরি দল আসিফকে উদ্ধারে নদীতে অভিযান চালিয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত নদীতে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হলেও নিখোঁজ আসিফের খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজকের মতো উদ্ধার তৎপরতা শেষ হয়েছে। রবিবার(৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে আবারো উদ্ধার কাজ শুরু করবে ফায়ার সার্ভিস।”
ঢাকা/রবিউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল
২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার
সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।
কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।