বন্দরে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির বিক্ষাভ ও পথসভা
Published: 8th, February 2025 GMT
বন্দরে যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্তৃক লিফলেট বিতরণের বিরুদ্ধে বিক্ষাভ মিছিল ও পথ সভা করেছে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৪টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ফরাজিকান্দা এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে আলীনগর ঘুরে ঘারমোড়া বাজার এলাকায় এসে সংক্ষিপ্ত পথসভার মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিলটি সমাপ্ত করা হয়।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুলের সভাপতিত্বে পথ সভায় বক্তব্য রাখেন বন্দর উপজেলা বিএনপি সিনিয়র সহ সভাপতি মহিউদ্দিন শিশির ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে পথ সভায় কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল বলেন, মহানগর বিএনপি আহবায়ক এড: শাখাওয়াত হোসেন ও সদস্য সচিব এড: টিপু এবং বন্দর উপজেলা বিএনপি সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরন ও সাধারন সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটনের নেতৃত্বে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন ভোট চোর শেখ হাসিনা ১৫ বছর বিনা ভোটে ক্ষমতায় থেকে এদেশের টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও জনতার কাছে সব কিছু হারিয়ে এখন ভারতে বসে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য জিয়ার সৈনিকেরা সব সময় প্রস্তুত আছে।
বিক্ষোভ মিছিল উপস্থিত ছিলেন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা দ্বীন ইসলাম, মোখলেস মাষ্টার,মোতালেব, শাহাদাত, আশাবুদ্দিন, সামছুজ্জামান স্বপন, কাউছার, সুজন, জাব্বার, কাউছার, সাইদুল ইসলাম শুভ, শ্যামল, আব্দুল্লা, এবাদুল্লাহ প্রধান, আজমুল প্রধান, লিটন প্রধান, মোক্তার হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও মৎসজীবি দলের নেতা লিখন খান, সদস্য অলি আহাম্মেদ ও জাব্বার যুবদল নেতা এমদাদ হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, লিটন মিয়া, যুবদল নেতা মোঃ রাকিব, রুবেল হোসেন প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ কল গ ছ য় ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
জেলা কৃষকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে একটি পক্ষের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ডা. শাহীন মিয়া।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ডা. শাহীন মিয়া আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আলম মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল আরমান, ফজলু মেম্বার, মনির মল্লিক, শাহাদাত হোসেন, ওবায়দুর রহমান, শাহ আল বেপারী, সেলিম হোসেন দিপু।
সংবাদ সম্মেলনে শাহীন মিয়া বলেন, কোন চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও স্বৈরাচারের দোসর এদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র যেকোনো অঙ্গ সংগঠনের পদে থাকতে পারে না। নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি হিসেবে আমার সংগঠনে যারা চাঁদাবাজ, দখলবাজ স্বৈরাচারের দোসর আমি তাদেরকে বহিষ্কার করেছি।
আওয়ামীলীগের সাথে শাহীনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনাদের ব্যাপারে পাল্টা তিনি বলেন, রূপগঞ্জ থানার সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর, দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও সাংগঠনিক দূর্বলতার কারণে তাকে ৩০ নভেম্বর ২০২৩ সালে সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এছাড়াও বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনে নজরুলের কোন প্রকার সম্পৃক্ততা ছিল না। সে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম হত্যা মামলার আসামি রূপগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনের যোগসাজসে রূপগঞ্জ ইউনিয়নের একাধিক মৌজার আবাদী জমিতে বালি ভরাট করে সাধারণ কৃষকের দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছিল।
এছাড়াও অসহায় ও সাধারন মানুষের বসতবাড়ি সহ জবরদখল করে নেয় তারা। নজরুল দোসরদের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নির্যাতন করেছিল। এভাবে বিগত ১৭ বছরে স্বৈরাচার সরকারের আস্থাভাজন হয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন এই নজরুল। সে হলো মৌসুমী পাখি।
তিনি বলেন, ১৭ টি বছর জুলুম নির্যাতন সহ্য করে এই নারায়ণগঞ্জে কৃষক দলকে হাতের মুঠোয় রেখেছি আজ সেই কৃষক দলের ভাবমূতি ক্ষুন্ন করতে এই নজরুল স্বৈরাচারের সাথে হাত মিলিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের মানহানি করেছে।
আমি এরই মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তার বিরুদ্ধে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। বিষয়টি আমি আমার হাইকমান্ডকে অবগত করেছি।
তিনি আরও বলেন, রূপগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সার্জন মোমেনকে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও দলীয় শৃংখল বঙ্গের দায়ে ১০ই এপ্রিল সভাপতি পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। সে বিগত সতেরো বছর নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে নিজের স্বার্থ হাসিল করেছে। ৫ ই আগস্টের পর ৪০ বিঘা জমির উপর মাছের প্রজেক্ট দখল করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন মোমেন।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময় সে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন তার নিজের জন্য। এখনো সে এলাকায় সাধারণ মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে এর যথেষ্ট প্রমাণ আমার কাছে এসেছে এবং অনেক সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। যে সমস্ত মানুষ কোন দল করে না দল বুঝেনা। এ সমস্ত অভিযোগের কারণে তাকে তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে নজরুলসহ কৃষকদলের বেশ কয়েকজন নেতা সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় শাহীনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লোকজনকে টাকার বিনিময়ে পুনর্বাসনসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনেন তারা।