আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন কারণে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যারা আপিল ট্রাইব্যুনালে বিজয়ী হয়েছেন, তাদের পুনর্বহালে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শনিবার পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, চাকরিতে পুনর্বহাল সংক্রান্ত ১ হাজার ৫২২টি আবেদন পুলিশ সদরদপ্তরে গৃহীত হয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে কনস্টেবল ১ হাজার ২৫, নায়েক ৭৯, এএসআই/এটিএসআই ১৮০, এসআই/সার্জেন্ট/টিএসআই ২০০, ইন্সপেক্টর ১০ জন এবং নন-পুলিশ সদস্য ২৮ জন। তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল সংক্রান্ত আবেদনগুলো পর্যালোচনায় গত বছরের আগস্টে একজন ডিআইজির নেতৃত্বে কমিটি করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে কমিটি সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। যারা আপিল ট্রাইব্যুনালে জয়ী হয়েছেন, তাদের চাকরিতে পুনর্বহালে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, যারা বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় আপিল করেননি, আইনি বাধা থাকায় তাদের পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করা যায়নি। এ ছাড়া যারা বরখাস্ত বা অপসারণ আদেশের বিরুদ্ধে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেননি এবং যাদের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন, আর্থিক দুর্নীতি ও অন্যান্য অভিযোগে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, তাদের পুনর্বহালের বিষয়টিও আইনগত কারণে বিবেচনা করা সম্ভব হয়নি।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জাল টাকা বহন: ২ জনের ১৪ বছর কারাদণ্ড

ঝালকাঠিতে জাল টাকা বহনের দায়ে নুপুর বেগম ও জসিম খলিফা নামে  দুইজনকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। 

আরো পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জে বিদেশি পিস্তল উদ্ধার

খুলনায় নবজাতক চুরি: নারী গ্রেপ্তার 

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আক্কাস সিকদার রায়ের তথ্য জানিয়েছেন। দুই আসামিকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত নুপুর বেগম (৩৫) পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুর এলাকার আল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী এবং জসিম খলিফা (৩৬) ঝালকাঠির সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকার ওয়াজেদ খলিফার ছেলে। 

ঝালকাঠি জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহেব হোসেন জানান, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ঝালকাঠি শহরের কবিরাজ বাড়ি রোড থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সূবর্ণ চন্দ্র দের নেতৃত্বে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকার ১৯৬টি জালনোট, ৫০০ টাকার ২০০টি জালনোট ও ২০০ টাকার ৫টি জালনোট জব্দ করা হয়। 

এসআই সুবর্ণ চন্দ্র দে বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে ঝালকাঠি থানায় মামলা করেন। 

রায় ঘোষণার সময় আসামি নুপুর বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জসিম খলিফা জামিনে বের হয়ে পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আরো মামলা রয়েছে। 

ঢাকা/অলোক/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাল টাকা বহন: ২ জনের ১৪ বছর কারাদণ্ড