সিনিয়র সিটিজেন হেলথকেয়ার লিমিটেডের ৩৭ শতাংশ শেয়ার কিনবে এডিএন টেলিকম লিমিটেড। এই পরিমাণ শেয়ার কেনার জন্য তারা ৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ করবে।

এডিএন টেলের পরিচালনা পর্ষদ ৬ ফেব্রুয়ারির সিদ্ধান্ত অনুসারে এই শেয়ার কেনার অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কোম্পানিটি ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা বাজারে প্রবেশ করল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।

গত এক বছরে এডিএনটেলের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৫১ টাকা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ৭৭ টাকা ৮০ পয়সা। ২০২৪ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ, ২০২৩ সালে ১৫ শতাংশ, ২০২২ সালে ১০ শতাংশ, ২০২১ সালে ১০ শতাংশ ও ২০২০ সালে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।

দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। কিন্তু গড় আয়ু বাড়লেও জীবনমানের বিশেষ উন্নতি হয়নি বলে স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন। ফলে বয়স্ক মানুষেরা নানা ধরনের রোগশোকে ভোগেন। এই বাস্তবতায় বয়স্ক মানুষের ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয়েছে। সেই বাস্তবতা মাথায় রেখেই এই বিনিয়োগ করল এডিএন টেল।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ