টানা দুই দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে
Published: 9th, February 2025 GMT
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে। এর আগে গতকাল শনিবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে, ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।
এদিকে শ্রীমঙ্গল শহর ও শহরের বাইরের এলাকাগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই দিন আগেও তাপমাত্রা বেশি ছিল। হঠাৎ করে তাপমাত্রা নিচের দিকে নামায় শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি কষ্ট পাচ্ছেন। দুই দিন ধরে সন্ধ্যার পর প্রচুর ঠান্ডা অনুভূত হয়। ঠান্ডার সঙ্গে হিমেল বাতাসের কারণে বিপাকে পড়েন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষেরা।
চা–বাগানগুলোতে শীত উপেক্ষা করে সকালে কাজে বের হতে দেখা যায় চা–শ্রমিকদের। এ ছাড়া হাইল হাওরসংলগ্ন এলাকায় কৃষকেরা বোরো ধান আবাদ করে থাকেন। শীতের কারণে এ অঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষদের কাজ করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ভোর হতেই কৃষকেরা মাঠে কাজ করতে বের হলেও তীব্র ঠান্ডা ও কুয়াশা তাদের কাজের গতি কমিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা প্রথম আলোকে বলেন, চা–বাগানে শীত বেশি পড়েছে। মাঘের শেষ দিকে এসে তো শীত পড়বে বোঝা যায়নি। শ্রীমঙ্গলে শীত মৌসুমে চা–শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা বেশি কষ্ট পান। অন্যান্য বছরের মতো এ বছর শীত মৌসুমে বিভিন্ন সংগঠন ও সরকারের পক্ষ থেকে তেমন গরম কাপড় বিতরণ হয়নি।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শ্রীমঙ্গলে আজও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শ্রীমঙ্গলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আগামীকালও এ রকম শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে, তবে তাপমাত্রা বাড়বে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’