সংগীতশিল্পী প্রীতমের স্টুডিও থেকে ৪০ লাখ টাকা চুরি!
Published: 9th, February 2025 GMT
ভারতের সঙ্গীতশিল্পী প্রীতম চক্রবর্তীর স্টুডিও থেকে নগদ ৪০ লাখ রুপি নিয়ে পালিয়েছে গায়কের স্টুডিওতে কর্মরত এক অফিস সহায়ক। এমন ঘটনায় মালাড খানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রীতমের ম্যানেজার। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে মালাড পুলিশ। জানা যাচ্ছে ওই যুবকের নাম আশিস সায়াল।
জানা গেছে, একটি কাজের জন্য প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে ওই ৪০ লক্ষ রুপি অগ্রিম হিসাবে প্রীতমকে দিয়েছিল।
পুলিশের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ৪ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে। সেসময় মধু মন্টেনার অফিস থেকে প্রোডাকশন হাউসের এক কর্মচারী গোরেগাঁওয়ে প্রীতম চক্রবর্তীর মিউজিক স্টুডিও 'ইউনিমিউজ রেকর্ডস প্রাইভেট লিমিটেড'-এ যান। তিনি প্রীতমের ম্যানেজার বিনীত ছেদাকে ৪০ লক্ষ রুপি নগদসহ একটা ব্যাগ দেন। সেসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ওই স্টুডিওর কর্মী আশিস সায়াল, আহমেদ খান এবং কমল দিশা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোরেগাঁও-মুলুন্দ লিঙ্ক রোডের রুস্তমজি ওজন বিল্ডিংয়ে রয়েছে জাতীয় পুরস্কারজয়ী সুরকার প্রীতমের ইউনিমিউজ রেকর্ডস প্রাইভেট লিমিটেড-এর অফিস।
জানা যাচ্ছে, টাকা দেওয়ার পর প্রীতমের ম্যানেজার বিনীত ছেদা (২৯) নগদ টাকা গুনে একটি ট্রলি ব্যাগে ভরে রাখেন। টাকা রেখে প্রীতমের বাড়িতে যান কিছু কাগজপত্রে তাকে সই করানোর জন্য।রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফিরে এসে দেখেন ব্যাগটি নেই। চুরি যাওয়া ব্যাগে ৫০০ টাকার ৮ হাজার নোট ছিল বলে জানা গেছে।
বিনীত ছেদা এ বিষয়ে আহমেদ খানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আশিস সায়াল টাকার ব্যাগটি নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি বলেছিলেন, সেই ব্যাগ তিনি প্রীতমের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। এরপর আশীস আর প্রীতমের বাড়িতে যাননি, এমনকি স্টুডিওতেও ফিরে আসেননি। এমনকি তাকে ফোনেও পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।
যদিও ঘটনার পর প্রীতম তার কর্মীদের কিছু সময় অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কারণ, আশীস নামে ওই যুবক তার স্টুডিওতে গত ৭ বছর ধরে কাজ করছেন। তবে বেশ কয়েকদিন আশীসের কোনও খোঁজ না মিললে, সঙ্গীতশিল্পীর ম্যানেজার পুলিশের দ্বারস্থ হন।
পুলিশ ইতিমদ্যেই আশিস সায়ালের আত্মীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে এবং তার মোবাইল ফোনের রেকর্ড খতিয়ে দেখে তার খোঁজ চালাচ্ছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন যে তারা সন্দেহভাজন ব্যক্তি সম্প্রতি কোনও জায়গা থেকে টাকা ধার করেছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাহলে এই চুরির পিছনের উদ্দেশ্য খুঁজতে সাহায্য করবে।
এই ঘটনায় মালাড পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৮১ ধারায় (কর্মচারী, চাকরদের তাদের নিয়োগকর্তার সম্পত্তি চুরি) এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে। সেসময় স্টুডিওতে উপস্থিত অন্যান্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রেন ক্যানসারের যে ৭টি লক্ষণ আমরা সাধারণ ভেবে এড়িয়ে যাই
শুরুতে উদাহরণ হিসেবে যেসব লক্ষণের কথা জানলেন, ব্রেন ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগের শুরুতে একই রকম লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে সমস্যা হলো, এসব লক্ষণ আর সাধারণ মাথাব্যথা বা ক্লান্তির মধ্যে পার্থক্য বোঝা সত্যিই কঠিন।
দীর্ঘদিন ব্রেন ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করছেন যুক্তরাজ্যের লরা স্ট্যান্ডেন। এই রোগে আক্রান্ত অনেক রোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তাঁদের অভিজ্ঞতা থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়েছে—রোগীরা নিজেরা প্রথম দিকে এসব উপসর্গকে গুরুত্ব দেননি।
এমনকি চিকিৎসকেরাও অনেক সময় ব্যাপারটা হালকাভাবে নিয়েছেন। ফলে রোগ শনাক্ত হতে দেরি হয়ে গেছে।
আর এই দেরি কিন্তু মারাত্মক। কারণ, ক্যানসার যত দেরিতে ধরা পড়ে, চিকিৎসাও তত জটিল ও কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে।
আসল সমস্যা হলো মস্তিষ্কের ক্যানসারের উপসর্গ অনেকটা আমাদের দৈনন্দিন সমস্যার মতোই। ক্লান্তি, মানসিক চাপ, মাইগ্রেন, এমনকি মেনোপজের সময়ের সমস্যার সঙ্গেও এর মিল আছে।
আবার অনেক সাধারণ রোগের লক্ষণও প্রায় একই রকম। যেমন দুশ্চিন্তা, সাইনাসের সমস্যা বা দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা।
যখন লক্ষণগুলো অস্পষ্ট আর হালকা থাকে, তখন সেসব উপেক্ষা করা সহজ হয়ে যায়। নিজের মনেই নানা যুক্তি খুঁজে নিই আমরা। তাই অনেকে অপেক্ষা করেন আর ভাবেন, দেখা যাক, সমস্যাটা কত দূর গড়ায়।
অনেকে ব্রেন ক্যানসার হওয়ার দুই-তিন মাস আগে থেকেই লক্ষণ টের পান। কিন্তু সাধারণ সমস্যা ভেবে তা উড়িয়ে দেন। এতে সমস্যা আরও জটিল হয়ে যায়।
এবার জেনে নিই সেই ৭টি সমস্যা সম্পর্কে, যেসব আমরা সাধারণ সমস্যা ভেবে উপেক্ষা করি। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে, এসব লক্ষণের মধ্যে একটা বা দুটো থাকলেই যে কারও ব্রেন ক্যানসার হয়েছে, তা কিন্তু নয়। তবে কোনো সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে থাকলে কিংবা একদম অস্বাভাবিক মনে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।
আরও পড়ুনরাতের এই অভ্যাসের কারণে মস্তিষ্ক যেভাবে দ্রুত বুড়িয়ে যায়১১ নভেম্বর ২০২৪১. কথা খুঁজে না পাওয়াঅনেকে হঠাৎ করে নির্দিষ্ট শব্দ মনে করতে পারেন না। পুরো বাক্য বলতে গেলে আটকে যান। কথোপকথনে অংশ নিতে গেলে একটু দেরি হয়।
শব্দ খুঁজে না পাওয়ার সমস্যা অবশ্য ক্লান্তি, মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার কারণেও হতে পারে। কিন্তু যদি এই সমস্যা দীর্ঘদিন থাকে, কিংবা হঠাৎ করে শুরু হয়, তাহলে অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার।
২. মানসিক ধোঁয়াশাঅনেকের মনে হয়, যেন মাথার ভেতর কুয়াশা জমে আছে। মনোযোগ দিতে পারছেন না, পরিষ্কার করে ভাবতে পারছেন না, কিছু মনে থাকছে না। ফলে রোগ ধরা পড়তে আরও দেরি হয়ে যায়।
এই মাথার ঘোলাটে ভাব অবশ্য অনেক কারণেই হতে পারে। মেনোপজ, ঠিকমতো ঘুম না হওয়া কিংবা মানসিক চাপ। কিন্তু যদি এই ঘোলাটে ভাবের সঙ্গে আরও কিছু স্নায়বিক সমস্যা দেখা দেয়, যেমন কথা বলতে বা দেখতে সমস্যা হয়, তাহলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।
দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তনও ব্রেন ক্যানসারের একটি প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে