হাওর পাড়ের জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
Published: 9th, February 2025 GMT
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “হাওরে ধান ও মাছ চাষ নিয়ে দুই মন্ত্রণালয় সংঘাতের মধ্যে আছে। হাওরে মাছের প্রজনন বৃদ্ধি করতে হলে ইজারায় স্বচ্ছতা আনতে হবে। সেই সঙ্গে হাওর পাড়ের জমি চাষাবাদে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।”
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বাইক্কা বিল পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তিনি এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
ফরিদা আখতার বলেন, “হাওরের সমস্যাগুলো দূর করা জন্য আমরা কাজ করব। অনেক জায়গায় অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণের কারণে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে হাওরের ক্ষতি হচ্ছে। হাওরের ক্ষতি হওয়া মানে মাছের ক্ষতি হওয়া। এজন্য মৎস্য অভয়াশ্রমের আয়তন বাড়ানো হবে। একইসঙ্গে সেগুলো খনন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
আরো পড়ুন:
মাঠভরা সবুজের হাসি, মাঘের বৃষ্টিতে বেড়েছে ঝিলিক
হাওরের উড়ালসড়ক নির্মাণ বেগবান করার দাবিতে সর্বদলীয় মানববন্ধন
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো.
ঢাকা/আজিজ/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফসল উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’