মানুষের মস্তিষ্কের টিস্যুতে ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা বা মাইক্রোপ্লাস্টিকের খোঁজ মিলেছে বেশ আগেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের দ্বারা পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে মানুষের মস্তিষ্কের টিস্যুতে মাইক্রোপ্লাস্টিক ও ন্যানোপ্লাস্টিকের (এমএনপি) পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এ বিষয়ে গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ডিউক ইউনিভার্সিটির স্নায়ুবিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু ওয়েস্ট বলেন, ‘মস্তিষ্কে এত বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক কণা পাওয়া যাবে, তা ভাবতেই পারিনি। তবে সব তথ্য বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হয়েছি যে এটি বাস্তব এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।’

গবেষণার জন্য ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মৃত্যুবরণ করা ৯১ ব্যক্তির মস্তিষ্কের টিস্যুর নমুনা বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৬ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মানুষের মস্তিষ্কের টিস্যুতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি ৫০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬ সালে প্রতি গ্রাম মস্তিষ্কের টিস্যুতে গড়ে ৩ হাজার ৩৪৫ মাইক্রোগ্রাম প্লাস্টিকের কণা পাওয়া গেলেও ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯১৭ মাইক্রোগ্রামে।

গবেষণার তথ্যমতে মস্তিষ্কের টিস্যুতে পাওয়া প্লাস্টিকের কণাগুলোর ধরন ও আকার এক রকম নয়। অধিকাংশ কণাই সূক্ষ্ম ও ধারালো, যা গবেষণাগারে ব্যবহৃত গোলাকার মাইক্রোপ্লাস্টিকের চেয়ে ভিন্ন। এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব প্লাইমাউথের মাইক্রোপ্লাস্টিক বিশেষজ্ঞ রিচার্ড থম্পসন বলেন, দৈনন্দিন ব্যবহারের বিভিন্ন সামগ্রী যেমন প্লাস্টিক ব্যাগ, পানির বোতল এবং খাদ্য মোড়ানোর প্লাস্টিক থেকেই মূলত এসব কণা এসেছে। তবে চিকিৎসা ও খাদ্যশিল্পে ব্যবহৃত পলিস্টাইরিন তুলনামূলক কম পরিমাণে মস্তিষ্কে জমা হয়েছে।

যেসব ব্যক্তির মস্তিষ্কের টিস্যুতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের ঘনত্ব বেশি ছিল, তাদের মধ্যে ১২ জন ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। তবে বিজ্ঞানীরা এখনো প্লাস্টিক কণার সঙ্গে স্নায়ুরোগের সরাসরি কোনো সম্পর্ক খুঁজে পাননি। ধারণা করা হচ্ছে যে ডিমেনশিয়ার ফলে মস্তিষ্কের টিস্যুতে প্লাস্টিক জমার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, বাতাস, পানি ও খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করা প্লাস্টিক কণাগুলো কীভাবে মস্তিষ্কে পৌঁছে যাচ্ছে এবং এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কী হতে পারে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। আর তাই বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখার পাশাপাশি সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে আরও গবেষণা করতে হবে।

সূত্র: গ্যাজেটস ৩৬০

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জার্মানির ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে পড়াশোনা, জেনে নিন সব তথ্য

একাডেমিক মান ও উদ্ভাবনী গবেষণার জন্য জার্মানি বিদেশি শিক্ষার্থীদের নানা প্রকার সুযোগ প্রদান করে। জার্মানির অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যারা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর নানা প্রোগ্রামের জন্য টিউশন ফি নেয় না। সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় বিকল্প হিসেবে এগিয়ে আছে জার্মানি।

অনেক টাকা খরচ ছাড়াই উচ্চমানের শিক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে জার্মানি দীর্ঘদিন ধরে অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। এখন ২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে শিক্ষা প্রদানকারী শীর্ষ ১০টি জার্মান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক—

আরও পড়ুনইংল্যান্ডে পড়াশোনা: খণ্ডকালীন চাকরি ও স্কলারশিপের সুযোগ, আইইএলটিএসে ৬.৫ স্কোর হলে আবেদন ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

১. টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখ (টিইউএম)

২০২৪ সালের কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় ৪১তম অবস্থানে আছে। টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখ গবেষণা ও উদ্ভাবনের ওপর জোর দেওয়ার জন্য অন্যতম বিখ্যাত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে প্রকৌশল, প্রযুক্তি ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে অনন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এটি। শিক্ষার্থীদের অত্যাধুনিক গবেষণা ও বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের পথ নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

হাইলাইট:

বিস্তৃত পরিসরে শেখানো হয় ইংরেজি প্রোগ্রাম

বড় বড় শিল্পের সঙ্গে যোগাযোগ

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনা মূল্যের কোর্সের খোঁজ মিলবে এ।

আরও পড়ুনফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আইইএলটিএস-টোয়েফল দরকার, বৃত্তিসহ আছে নানা সুযোগ, সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টা কাজ১৪ আগস্ট ২০২৪

২. লুডভিগ মাক্সিমিলিয়ান ইউনিভার্সিটি, (এলএমইউ মিউনিখ)

২০২৪ সালের কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় ৬০তম অবস্থানে আছে। এলএমইউ মিউনিখ মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, ন্যাচারাল সায়েন্স, মেডিসিনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার জন্য পরিচিত। উচ্চ একাডেমিক মান ও গবেষণার জন্য পরিচিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।

হাইলাইট:

ভিন্ন ভিন্ন প্রোগ্রাম

উচ্চ মানের গবেষণার সুবিধা

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনা মূল্যের কোর্সের খোঁজ মিলবে ।

৩. হাইডেলব্যর্গ বিশ্ববিদ্যালয়

২০২৪ সালের কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় ৬৩তম অবস্থানে আছে। জার্মানির প্রাচীনতম এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও শিক্ষার শ্রেষ্ঠত্বের জন্য বিখ্যাত, বিশেষ করে মানবিক ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে।

হাইলাইট:

সমৃদ্ধ একাডেমিক ঐতিহ্য

ব্যাপকভাবে আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনা মূল্যের কোর্স সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।

জার্মানির অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি নেয় না

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খেলাপি ঋণ ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
  • কোটার অধিনায়ক বাভুমা ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে করমর্দন
  • সংশোধিত সাইবার অধ্যাদেশও আন্তর্জাতিক মানের হয়নি
  • ‘রক্ত দিয়ে যে আনন্দ পাওয়া যায়, তা আর অন্য কিছুতেই নেই’
  • সঞ্জয় তার বন্ধুদের সঙ্গে রাত কাটাতে আমাকে বাধ্য করেছিল: কারিশমা
  • জার্মানির ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে পড়াশোনা, জেনে নিন সব তথ্য
  • কয়েক দশকের ছায়াযুদ্ধ থেকে এবার প্রকাশ্য সংঘাতে ইরান-ইসরায়েল
  • ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান নিহত 
  • কারিশমা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় মারা গেছেন
  • চট্টগ্রামে বন্য হাতির মৃত্যু ঠেকাতে বন বিভাগ আসলে কী করছে