ভারত থেকে শুরু করে পাকিস্তান; চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলগুলো ব্যস্ত ওয়ানডে সংস্করণে খেলায়। এই দুই দলই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের গ্রুপে। কিন্তু বাংলাদেশ দল সদ্য সমাপ্ত হওয়া বিপিএল শেষে অনুশীলন শুরু করেছে। একদিনের ক্রিকেটের পূর্ণ প্রস্তুতির কিছুটা ঘাটতি নিয়েই দুবাইয়ের বিমান ধরতে হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে।

অনুশীলনের এই ঘাটতি আছে বলে মনে করেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দলীয় অনুশীলন শুরুর আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হ্ন কোচ। প্রস্তুতি পিছিয়ে আছে কী না বাংলাদেশ, এই প্রশ্নে একমত প্রকাশ করেন তিনি।

“হ্যাঁ আমি আপনার সাথে একমত যে আমরা সেরা প্রস্তুতি নিতে পারিনি। তবে তারা ক্রিকেটের মধ্যেই ছিল তাও সাদা বলের ক্রিকেট। তার মানে স্কিলের দিক থেকে তারা শাণিত আছে। আগামী ৬-৭ দিনে মানসিকভাবে আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। তাদের স্কিল আছে, ভালোও খেলেছে, এখন শুধু ওয়ানডে ফরম্যাটের মানসিকতায় প্রবেশ করলেই হবে।”

আরো পড়ুন:

‘এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না’ -সাকিবের ফেরা নিয়ে সিমন্স

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলের সঙ্গী হচ্ছেন হাসান মাহমুদ

দুই ধাপে ফিটনেস টেস্ট দেয়ার পর ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় দলীয় অনুশীলন। আজ মিরপুর শের-ই-বাংলায় সেন্টার উইকেটে নিজেদের প্রস্তুত করতে থাকেন সৌম্য সরকাররা। ম্যাচ সিনারিও অনুশীলনও চলেছে কিছুক্ষণ। এক পাশে যখন ব্যাটিং-বোলিং চলছিল আরেক পাশে পেসারদের নিয়ে চলছিল ক্যাচ অনুশীলন।

বিপিএলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে থাকা প্রায় ক্রিকেটার নিয়মিত ম্যাচ পেলেও শান্ত ছিলেন ডাগআউটে বসে। তার না খেলা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সিমন্সের সংবাদ সম্মেলনে, “সে খেলুক বা না খেলুক প্রতিদিনই কঠোর পরিশ্রম করেছে। সবার কাছ থেকে স্ট্রং মেন্টাল এটিটিউড প্রয়োজন। ৫০ ওভারের ম্যাচ তো হয়নি। সে অনেক ম্যাচ খেলতে পারেনি এটা ঠিক। তবে সে প্রস্তুতি নিয়েছে, সামনেও নিবে।”

এদিকে শান্ত যখন ম্যাচ পায়নি তখন পেসার নাহিদ রানা খেলেছেন টানা। এতে কোনো প্রভাব পড়বে কি না? সিমন্সের উত্তর, “গত কয়েক ম্যাচে ওকে একটু স্লো মনে হয়েছে। রানআপও একটু বেশি সাধারণ, স্বাভাবিকের চেয়ে কম। তারা তো আগেভাগে বিদায় নিয়েছে ফলে নাহিদ রানা একটু বিশ্রামও পেয়েছে। ক্যারিবিয়ানে যেমন গতি ছিল, রানআপ ছিল, গতকাল তাকে এমন ধারাল বলেই মনে হয়েছে।”

বাংলাদেশ পড়েছে কঠিন  গ্রুপে। ‘এ’ গ্রুপ থেকে ভারত-পাকিস্তান ছাড়া অন্য প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড। ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে লড়বে ভারতের বিপক্ষে, দুবাইয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচ ২৪ ফেব্রুয়ারি, লাহোরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। আর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। শক্তিশালী এসব দলকে টপকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে?

“এই বিশ্বাস না থাকলে আমি এখানে থাকতাম না। আপনি যেকোনো টুর্নামেন্টেই যান না কেন, নিজের সেরা প্রস্তুতি নিয়ে নিজের সেরাটা খেলতে চাইবেন। আমি এটাই করতে চাই, প্রতিবার। ক্যারিবিয়ানে ওয়ানডে সিরিজ ভালো না হলেও আমরা শেষটা ভালো করেছি। আমি মনে করি আমাদের খুব ভালো সম্ভাবনা আছে, যদি সামর্থ্যের সবটা দিতে পারি”-বলেছেন সিমন্স।

ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স মন স

এছাড়াও পড়ুন:

ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে ‘অশ্বডিম্ব’ বললেন সিপিবি সভাপতি

আট মাস আলোচনার পর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে সুপারিশ দিয়েছে, তাকে ‘অশ্বডিম্ব’ বলেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন।

‘জগাখিচুড়ি মার্কা’ কমিশনের সুপারিশের পর পরিস্থিতি জটিলতার দিকে মোড় নেওয়ার দিকটি নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আট মাস আলোচনার পর একটা অশ্বডিম্বের মতো একটা অবস্থা।’

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংলাপে ‘পলিটিকস ল্যাব: পাবলিক ডায়ালগ’ শীর্ষক সংলাপে এ কথা বলেন সাজ্জাদ জহির। এ সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।

তরুণ রাজনীতিকদের মধ্যে মতাদর্শভিত্তিক সংলাপ ও গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে জার্মান ফাউন্ডেশন ফ্রেডরিখ এবার্ট স্টিফটুং (এফইএস)-এর সহযোগিতায় ‘পলিটিকস ল্যাব’ শিরোনামে চারটি ধারাবাহিক কর্মশালা করেছে সিজিএস। তার সমাপনী অনুষ্ঠান হিসেবে আজকের সংলাপ হয়।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে হস্তান্তরের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তা নিয়ে মতভেদ দেখা দেয়। নানা প্রশ্নে বিভিন্ন দলের আপত্তির বিষয়গুলো সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ার তফসিলে না থাকা নিয়ে যেমন সমালোচনা হচ্ছে, আবার গণভোটের সময় নিয়েও দলগুলোর মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে।

এই সংকট তৈরির জন্য ঐকমত্য কমিশনকে দায়ী করে সাজ্জাদ জহির বলেন, ‘এটার সমাধানটা কী? এই গণভোটের সমাধানটা কী? জুলাই সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন হবে? সে বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা কিন্তু নেই। মানে একধরনের হাওয়ার ওপরে সবকিছু চলছে। এখানে ৮৪টা পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ২০টাতে একমত হয়েছে, বাকিগুলোতে একমত হয়নি। তাহলে কোন বিষয়ে ভোটটা হবে।’

জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করা সিপিবি সভাপতি বলেন, ‘আমরা দেখলাম জুলাই সনদে স্বাক্ষর হলো। এরপর সর্বশেষ সংস্কার কমিশন তারা আবার আরেকটা খেলা খেলল এখানে। দেখেন কী অবস্থা! তারা বলছে যে নোট অব ডিসেন্ট কিছুই থাকবে না। ভিন্ন মত থাকবে না। আমার তো ভিন্নমত আছে, কেন থাকবে না?’

গণভোট নিয়ে তিনি বলেন, ‘সংবিধানে কোথাও গণভোটের কোনো বিধান নেই। একটা আছে যেটা ১৪২ ধারা। যেটা নির্বাচিত সংসদে যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে মতভেদ তীব্রতর হয়, তাহলে সেই বিষয়ের ওপরে নির্বাচিত সংসদ জনগণের আহ্বান করতে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে গণভোট সংবিধানসম্মত নয়।’

সিপিবির সভাপতি বলেন, এসব জটিলতা এড়াতে প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে গত বছরের অক্টোবর মাসে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছিলেন। তবে ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে’ সরকার সেটি শোনেনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশের মানুষ ১৭ বছর ধরে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে: সাইফুল হক
  • জুলাই সনদে সই না করা অংশের দায় নেব না: মির্জা ফখরুল
  • ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে ‘অশ্বডিম্ব’ বললেন সিপিবি সভাপতি
  • যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান: তুরস্ক