আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেরা প্রস্তুতি নিতে পারিনি: প্রধান কোচ
Published: 10th, February 2025 GMT
ভারত থেকে শুরু করে পাকিস্তান; চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলগুলো ব্যস্ত ওয়ানডে সংস্করণে খেলায়। এই দুই দলই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের গ্রুপে। কিন্তু বাংলাদেশ দল সদ্য সমাপ্ত হওয়া বিপিএল শেষে অনুশীলন শুরু করেছে। একদিনের ক্রিকেটের পূর্ণ প্রস্তুতির কিছুটা ঘাটতি নিয়েই দুবাইয়ের বিমান ধরতে হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে।
অনুশীলনের এই ঘাটতি আছে বলে মনে করেন প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দলীয় অনুশীলন শুরুর আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হ্ন কোচ। প্রস্তুতি পিছিয়ে আছে কী না বাংলাদেশ, এই প্রশ্নে একমত প্রকাশ করেন তিনি।
“হ্যাঁ আমি আপনার সাথে একমত যে আমরা সেরা প্রস্তুতি নিতে পারিনি। তবে তারা ক্রিকেটের মধ্যেই ছিল তাও সাদা বলের ক্রিকেট। তার মানে স্কিলের দিক থেকে তারা শাণিত আছে। আগামী ৬-৭ দিনে মানসিকভাবে আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। তাদের স্কিল আছে, ভালোও খেলেছে, এখন শুধু ওয়ানডে ফরম্যাটের মানসিকতায় প্রবেশ করলেই হবে।”
আরো পড়ুন:
‘এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না’ -সাকিবের ফেরা নিয়ে সিমন্স
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলের সঙ্গী হচ্ছেন হাসান মাহমুদ
দুই ধাপে ফিটনেস টেস্ট দেয়ার পর ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় দলীয় অনুশীলন। আজ মিরপুর শের-ই-বাংলায় সেন্টার উইকেটে নিজেদের প্রস্তুত করতে থাকেন সৌম্য সরকাররা। ম্যাচ সিনারিও অনুশীলনও চলেছে কিছুক্ষণ। এক পাশে যখন ব্যাটিং-বোলিং চলছিল আরেক পাশে পেসারদের নিয়ে চলছিল ক্যাচ অনুশীলন।
বিপিএলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে থাকা প্রায় ক্রিকেটার নিয়মিত ম্যাচ পেলেও শান্ত ছিলেন ডাগআউটে বসে। তার না খেলা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সিমন্সের সংবাদ সম্মেলনে, “সে খেলুক বা না খেলুক প্রতিদিনই কঠোর পরিশ্রম করেছে। সবার কাছ থেকে স্ট্রং মেন্টাল এটিটিউড প্রয়োজন। ৫০ ওভারের ম্যাচ তো হয়নি। সে অনেক ম্যাচ খেলতে পারেনি এটা ঠিক। তবে সে প্রস্তুতি নিয়েছে, সামনেও নিবে।”
এদিকে শান্ত যখন ম্যাচ পায়নি তখন পেসার নাহিদ রানা খেলেছেন টানা। এতে কোনো প্রভাব পড়বে কি না? সিমন্সের উত্তর, “গত কয়েক ম্যাচে ওকে একটু স্লো মনে হয়েছে। রানআপও একটু বেশি সাধারণ, স্বাভাবিকের চেয়ে কম। তারা তো আগেভাগে বিদায় নিয়েছে ফলে নাহিদ রানা একটু বিশ্রামও পেয়েছে। ক্যারিবিয়ানে যেমন গতি ছিল, রানআপ ছিল, গতকাল তাকে এমন ধারাল বলেই মনে হয়েছে।”
বাংলাদেশ পড়েছে কঠিন গ্রুপে। ‘এ’ গ্রুপ থেকে ভারত-পাকিস্তান ছাড়া অন্য প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড। ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে লড়বে ভারতের বিপক্ষে, দুবাইয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচ ২৪ ফেব্রুয়ারি, লাহোরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। আর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। শক্তিশালী এসব দলকে টপকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে?
“এই বিশ্বাস না থাকলে আমি এখানে থাকতাম না। আপনি যেকোনো টুর্নামেন্টেই যান না কেন, নিজের সেরা প্রস্তুতি নিয়ে নিজের সেরাটা খেলতে চাইবেন। আমি এটাই করতে চাই, প্রতিবার। ক্যারিবিয়ানে ওয়ানডে সিরিজ ভালো না হলেও আমরা শেষটা ভালো করেছি। আমি মনে করি আমাদের খুব ভালো সম্ভাবনা আছে, যদি সামর্থ্যের সবটা দিতে পারি”-বলেছেন সিমন্স।
ঢাকা/রিয়াদ/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনসহ ১১ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন ও এবি পার্টির ঐকমত্য
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনপদ্ধতি চালুসহ ১১টি বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে এবি পার্টি। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে দল দুটি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এবি পার্টির মধ্যে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। আজ বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার পরিবেশ তৈরি হবে। সম্প্রতি নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা ধর্মবিরোধী, ইসলামবিরোধী ও দেশবিরোধী। কমিশনের প্রস্তাবগুলো বাতিল করতে হবে। এ বিষয়ে এবি পার্টিও একমত।
বৈঠক সম্পর্কে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, তাঁরা এই বৈঠকের মাধ্যমে দেশবাসীকে বার্তা দিতে চান, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে তাঁরা ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। বাংলাদেশকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বানানো পর্যন্ত এই ঐক্য টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
দুই দলের বৈঠকে আরও যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও সাম্রাজ্যবাদমুক্ত স্বাধীন–সার্বভৌম টেকসই কল্যাণকর বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা; দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি ও টাকা পাচারকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা; ভোটাধিকারসহ সব নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা; দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করে নিয়ে আসা; আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে দেশ পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা; আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে আঘাত করে কথা না বলা এবং প্রশাসনে এখনো বিদ্যমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্রুত অপসারণ করা; আগামীতে যাতে আওয়ামী লীগের মতো আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকা; দেশের স্থায়ী শান্তি ও মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে সংবিধানে বিদ্যমান শরিয়াহবিরোধী আইন বাতিল এবং ইসলামসহ সব ধর্মের প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য পরিহার করা, কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে কোনো কথা বা বক্তব্য না দেওয়া।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতেয়াজ আলম, মাওলানা সৈয়দ এসহাক মু. আবুল খায়ের ও মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম।
অপর দিকে এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম ও বি এস নাজমুল হক, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যোবায়ের আহমেদ ভূইয়া, আবদুল্লাহ আল মামুন, আনোয়ার সাদাত, এ বি এম খালিদ হাসান, শ্যাডো অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি আব্বাস ইসলাম খান, সংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) গাজী নাসির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।