বন্দরে আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল আটক
Published: 10th, February 2025 GMT
বন্দরে ইসমাইল হোসেন (৫২) নামে এক আওয়ামীলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ইসমাইল হোসেন বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।
তিনি চিড়ইপাড়া কলোনী এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দ বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোকলেছুর রহমান বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আওয়ামীলীগ নেতা ইসমাইল হোসেনকে আটক করে থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দলীয় প্রভাবে সরকারি সম্পত্তি দখল ও জুলাই মাসে মদনপুর এলাকায় ছাত্র-জনতার উপর হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটককৃত আওয়ামীলীগ নেতা ইসমাইল থানা হাজতে আটক রয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ আওয় ম ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
দুদকের অভিযান: ঘুষসহ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী আটক
চট্টগ্রামে কাস্টমস হাউসে ফাঁদ অভিযান চালিয়ে ঘুষের টাকাসহ দুজনকে হাতে নাতে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আটককৃতরা হলেন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায় এবং তার সঙ্গী মাইনুদ্দীন। তাদের কাছ থেকে ৩০ হাজার ঘুষের টাকা উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে ঘুষের টাকাসহ কাস্টমসের কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
ডিএসসিসির দুই কর্মকর্তাসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলা
মঙ্গলবার গোপন সংবাদ সংবাদের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, চট্টগ্রাম-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি টিম এই অভিযান পরিচালনা করে।
দুদক জানায়, হোমল্যান্ড প্লাস্টিক স্যু ইন্ডাস্ট্রিজ-এর প্রোপাইটর আমির হোসেন জাপান থেকে আমদানি করা ব্রেক অ্যাক্রিলিক মিক্সড প্লাস্টিক ওয়াস্ট এন্ড স্ক্র্যাপ (মূল্য ৬ হাজার ৪২৮.১০ মার্কিন ডলার) ছাড়করণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের শুল্কায়ন সেকশন-৭(বি) -এর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায় ও মো. ছারওয়ার উদ্দিন ইচ্ছাকৃতভাবে হয়রানি করে নির্ধারিত রেটের বাইরে অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন এবং টাকা প্রদান না করলে পণ্য ছাড়করণে বিলম্ব ও নিলামে বিক্রির হুমকি দেন।
উক্ত হুমকির প্রেক্ষিতে হোমল্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রির প্রোপাইটার আমির হোসেন রাজস্ব কর্মকর্তাদের এরূপ দুর্নীতিমূলক ঘুষ দাবির বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রাম কার্যালয়কে অবহিত করেন।
কমিশনের জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধির আলোকে ঘুষ দাবিকারী শুল্ক বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তারের উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং এ বিষয়ে কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করে।
অভিযানকালে দুদকের বিশেষ টিম অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছদ্মবেশে ঘুষ লেনদেন পর্যবেক্ষণ করে। এ সময় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায় এবং তার সঙ্গী মাইনুদ্দীনকে ঘুষের টাকা ৩০ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযান শেষে আলামতের জব্দ তালিকা প্রণয়ন, স্বাক্ষীদের বক্তব্য গ্রহণসহ সকল আইনানুগ কার্যক্রম সম্পন্ন করে মামলা রুজুপূর্বক আটককৃতদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার তদন্তকালে উক্ত অপরাধের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ফিরোজ