পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চিড়াপাড়া  পারসাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান লাইকুজ্জামান তালুকদার মিন্টুকে (৪৩) গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান কাউখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান।

পুলিশ জানায়, রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে পিরোজপুরের আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের সামনের একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজ থেকে লাইকুজ্জামান তালুকদার মিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাতেই তাকে কাউখালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানে ২ দিনে আটক ২৪

পাবনায় ছুরিকাঘাতে স্ত্রী খুন, স্বামী গ্রেপ্তার 

গ্রেপ্তার লাইকুজ্জামান মিন্টু নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মৃত ইসহাক আলী খান পান্নার ভাগ্নে। 

কাউখালী থানার ওসি মো.

সোলায়মান বলেন, “উপজেলার বেকুটিয়ার নতুন বাজার এলাকায় ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে বিএনপির পোষ্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় কাউখালী থানায় মামলা হয়। সেই মামলায় তাকে ডিবি পুলিশ পিরোজপুর থেকে গ্রেপ্তার করে রাতে কাউখালী থানায় হস্তান্তর করেন।” 

ঢাকা/তাওহিদুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ