Samakal:
2025-09-18@02:05:28 GMT

স্বাদের হালুয়া রুটি

Published: 11th, February 2025 GMT

স্বাদের হালুয়া রুটি

শবে বরাতে হালুয়া রুটি না হলে ঠিক জমে না। রুটির সঙ্গে খাওয়ার জন্য বুট, গাজর কিংবা পছন্দের যেকোনো হালুয়া বানিয়ে নিতে পারেন। রেসিপি দিয়েছেন আফরোজা খানম মুক্তা

বুটের হালুয়া
উপকরণ: বুটের ডাল ৫০০ গ্রাম, চিনি ৭৫০ গ্রাম, এলাচ ও দারচিনি ২-৩ পিস, ঘি ১ কাপ, হলুদ রং সামান্য, তেজপাতা ২ পিস, পেস্তা বাদাম কুচি ১ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি: বুটের ডাল পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি বেশি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। ডাল মিহি করে বেটে নিন। কড়াইতে ঘি, চিনি, এলাচ, দারচিনি, বুটের ডাল বাটা, তেজপাতা দিয়ে নেড়ে রেখে দিন ১-২ ঘণ্টা। পরে চুলায় কড়াই বসিয়ে রান্না করুন। হালুয়া ঘন হয়ে এলে এলাচ ও দারচিনি, তেজপাতা ফেলে দিন। নাড়তে নাড়তে কড়াই থেকে হালুয়া ছেড়ে এলে নামিয়ে নিন। এবার হাতে ঘি মাখিয়ে কমলার মতো বানিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল বুটের ডালের হালুয়া।

চালের রুটি
উপকরণ: চালের গুঁড়া ১ কেজি, লবণ স্বাদমতো, পানি ৫ কাপ। 
প্রণালি: পানি ও লবণ একসঙ্গে ফুটিয়ে নিন। পরে চালের গুঁড়া দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করুন সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। পরে হাত দিয়ে গরম গরম মাখিয়ে নিন। গোল তৈরি করে পাতলা ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। রুটির মাপে লেচি কেটে রুটি বানিয়ে নিন। এবার রুটি ভেজে নিন। তৈরি হয়ে গেল চালের রুটি। 

নারকেলের সন্দেশ
উপকরণ: নারকেল কোরানো ২ কাপ, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ,  চিনা বাদাম গুঁড়া আধা কাপ, পেস্তা বাদাম ১ টেবিল চামচ, কাজু বাদাম ২ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, লাল চেরি প্রয়োজন মতো।
প্রস্তুত প্রণালি: নারকেল কোরানোর সঙ্গে গুঁড়া দুধ, বাদাম গুঁড়া ও কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে মাখিয়ে নিন। কড়াইতে ঘি গরম করে মাখানো নারকেল দিয়ে অনবরত নাড়ুন। কড়াই থেকে নারকেল ছেড়ে এলে চুলা থেকে নামিয়ে অল্প ঠান্ডা করে সন্দেশের ছাঁচে বসিয়ে তৈরি করে ফেলুন নারকেলের সন্দেশ। এবার লাল চেরি দিয়ে পরিবেশন করুন।

গাজরের হালুয়া
উপকরণ: গাজর ৫০০ গ্রাম, চিনি ৫০০ গ্রাম, এলাচ ও দারচিনি ২ পিস, ঘি ও গুঁড়া দুধ আধা কাপ, পানের বোঁটা সাজানোর জন্য, পেস্তা বাদাম কুচি সামান্য।
প্রস্তুত প্রণালি: গাজরের খোসা ফেলে ধুয়ে গ্রেট কার নিন। কড়াইতে ঘি গরম করে গাজর, চিনি, এলাচ ও দারচিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। হয়ে এলে গুঁড়া দুধ ও কাঠবাদাম কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। আঠালো হলে নামিয়ে নিন। হাতে ঘি মাখিয়ে হালুয়া গাজরের শেপ তৈরি করুন। শেষে পানের বোঁটা দিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল গাজরের হালুয়া।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেছে ইসি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের গুদামে ইতোমধ্যেই এসব নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানো শুরু হয়েছে।

সোমবার বিকেলে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্বাচন ভবনের বেসমেন্টে অবস্থিত ইসির গুদামে নির্বাচনী সরঞ্জাম দেখতে যান। এ সময় তারা সংগৃহীত ভোটগ্রহণের বিভিন্ন সরঞ্জাম পরীক্ষা করে দেখেন।

এসব নির্বাচনী সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ব্যালট বাক্স, লক, ঢাকনা, গানি ব্যাগ, সিল, বিভিন্ন ধরনের ফরম, প্যাকেট ইত্যাদি।

ইসি ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচনী দ্রব্য, ফরম, প্যাকেট বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে।

নির্বাচনী সরঞ্জাম সংগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বাসসকে বলেন, ‘আজ বার্ষিক দ্রব্য সংগ্রহের পরিকল্পনা সংক্রান্ত মিটিং করেছি। ইতিমধ্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম আসা শুরু হয়েছে।’

ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বাসসকে বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমরা কোনো কোনো নির্বাচনী উপকরণ প্রায় অর্ধেক পেয়েছি। আবার কোনো কোনো উপকরণ এখনো আসেনি। আশা করছি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী দ্রব্য সামগ্রী পেয়ে যাব।’

ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, বর্তমানে দেশের ১০টি অঞ্চলের আওতায় ৬৪ জেলায় ৩০০ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১ জন। এবার গড়ে প্রতি ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র করার ভিত্তিতে মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সব মিলিয়ে ভোটকক্ষ হবে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি। আগামী ২০ অক্টোবর চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে।

নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহের বিষয়ে সম্প্রতি ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ পর্যন্ত ব্রাস সিল ও সিলগালা বাদে অন্যান্য উপকরণগুলো আমরা পাচ্ছি। সময়সীমা দেওয়া আছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই উপকরণগুলো পাচ্ছি। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সকল দ্রব্য পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেছে ইসি