স্থপতি লাইলুন নাহার একরাম গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

দীর্ঘদিন ধরে জটিল কিডনি রোগে ভুগছিলেন লাইলুন নাহার। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

লাইলুন নাহার স্বামী, এক ছেলে, এক মেয়ে, পুত্রবধূ, জামাতা ও তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।

আজ বুধবার বাদ আসর ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে (সড়ক নম্বর ১২/এ) লাইলুন নাহারের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা হবে।

গাজীপুরের জয়দেবপুরে পারিবারিক কবরস্থানে মা–বাবার কবরের পাশে লাইলুন নাহারকে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে বলা হয়েছে।

পারিবারিক বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্খীদের জানাজায় শরিক হওয়ার এবং মরহুমার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি নেতাকে মারধর, খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি কারাগারে

খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হাসান আল মামুন। খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে আদালত চত্বরে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম ও পচা আম নিক্ষেপ করেন। তার শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। পরে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেন সেনা সদস্যরা। 

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম বলেন, মামলাটিতে উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার খুলনা মহানগর দায়রা জজ  আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি মামুন নিজেই
ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন ফখরুল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ