পিলখানায় নিহতদের স্বজনদের সংগঠন ‘শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশনের’ আত্মপ্রকাশ
Published: 12th, February 2025 GMT
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ‘শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। বুধবার রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে শহীদ কর্নেল মজিবুল হকের স্ত্রী নাহরীন ফেরদৌস এই সংগঠনের ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, নতুন সংগঠন গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের অবদান ও তাদের স্মৃতি ধরে রাখা এবং শহীদ পরিবারগুলোর কল্যাণে কাজ করা।
নাহরীন ফেরদৌস বলেন, গত ১৬ বছর ধরে শহীদ পরিবারগুলো প্রতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন-চার হাজার মানুষের জন্য মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করছে। এই ধারাবাহিকতায় এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে একটি স্থায়ী প্ল্যাটফর্ম ‘শহীদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন’ গঠন করা হয়েছে। ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের যেকোনো শহীদ পরিবারের সদস্য এই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হতে পারবেন।
তিনি জানান, সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য www.                
      
				
সংবাদ সম্মেলনে শহীদ সেনা পরিবারের পক্ষ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবি জানানো হয়।
  
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব র র র সদস য স গঠন গঠন র
এছাড়াও পড়ুন:
‘স্বপ্ন ছিল বুকে জড়িয়ে ধরার, এখন আশা দাফনটা যদি অন্তত করতে পারি’
সাদা রঙের দেয়াল ঘেরা সাদামাটা ছোট্ট একটি হলঘর। ডজনখানেক মা ও স্ত্রী চুপচাপ বসে আছেন সামনের সারিতে। বাবা, ভাই ও বন্ধুরা দাঁড়িয়ে আছেন পেছনের দিকে, দেয়াল ঘেঁষে। সবার চোখ স্থির ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের ওই কক্ষের একটি স্ক্রিনের দিকে। সেখানে দেখানো হচ্ছে পচে-গেলে যাওয়া মরদেহের ছবি। এসব দেহাবশেষের কোনো একটি হয়তো তাঁদেরই এক প্রিয়জনের।
গাজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে এখানে এসেছে পরিবারগুলো। নিবিষ্টভাবে ছবিগুলো দেখছেন পরিবারের সদস্যরা। এ আশায় যে, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে যদি নিখোঁজ স্বজনকে শনাক্ত করা যায়।
মরদেহগুলো সম্প্রতি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে হওয়া বন্দী বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ হস্তান্তর করেছে। মরদেহগুলোতে নির্যাতন ও পচনের সুস্পষ্ট চিহ্ন রয়েছে। তবে এগুলো ফেরত দেওয়া হয়েছে শনাক্তকরণের কোনো উপায় ছাড়াই। এমনকি মৃত্যুর তারিখ বা স্থানেরও উল্লেখ করা হয়নি।
গাজায় ডিএনএ পরীক্ষার সরঞ্জাম না থাকায় স্বজনদের জন্য তাঁদের প্রিয়জনকে শনাক্ত করার একমাত্র উপায় হলো পচে-গলে বিকৃত হয়ে যাওয়া মরদেহের ছবি মনোযোগ দিয়ে দেখা। এটি যেমন নিদারুণ যন্ত্রণাভরা এক প্রক্রিয়া, ঠিক তেমনই আর কোনো উপায়ও নেই।
স্ক্রিনে দেখানো পচে-গলে যাওয়া মরদেহের ছবি দেখে স্বজনদের শনাক্তের চেষ্টা। গাজার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স; ১৮ অক্টোবর ২০২৫