গাজায় আবার যুদ্ধ শুরু হওয়ার শঙ্কা
Published: 12th, February 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় আবার যুদ্ধ শুরুর প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রিজার্ভ সেনা তলব করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আগামী শনিবারের মধ্যে আরও ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি না দিলে গাজায় হামলা শুরু করতে পারে ইসরায়েল।
গত ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীন আগামী শনিবার আরও তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা। তবে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে অভিযোগ এনে চলতি সপ্তাহে অনির্দিষ্টকালের জন্য জিম্মি মুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয় হামাস।
হামাসের এ ঘোষণা পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, শনিবার দুপুরের মধ্যে হামাস সব জিম্মিকে মুক্তি না দিলে গাজায় ‘নরক নেমে আসবে’।
আরও পড়ুনট্রাম্পের গাজা দখলের প্রস্তাব ‘হাস্যকর’, বলল উত্তর কোরিয়া১১ ঘণ্টা আগেগতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস যদি জিম্মি মুক্তির সময়সীমা মেনে না চলে, ‘তীব্র লড়াই’ শুরু করবে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি গাজার ভেতরে ও আশপাশে ইসরায়েলি বাহিনীকে জড়ো হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পরই গাজা সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে অতিরিক্ত সেনা পাঠানো ও রিজার্ভ সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেয় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
এ অচলাবস্থার কারণে গাজায় নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রায় ১৫ মাসের এ সংঘাতে গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানকার বেশির ভাগ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। খাবার, সুপেয় পানি ও আশ্রয়কেন্দ্রের সংকট তৈরি হয়েছে। এ সংঘাত ঘিরে মধ্যপ্রাচ্য আঞ্চলিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে।
ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানান, শনিবারের মধ্যে সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া না হলে যুদ্ধবিরতি বাতিলে ট্রাম্পের দেওয়া হুমকি ‘অনুমোদন করেছেন’ নেতানিয়াহু সরকারের মন্ত্রীরা।
আরও পড়ুনফিলিস্তিনিদের গাজায় ফেরার অধিকার দেওয়া হবে না: ট্রাম্প১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এদিকেগতকাল মঙ্গলবার হামাসের এক নেতা বলেছেন, কেবল যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চললেই গাজা থেকে জিম্মিদের ফেরত নিতে পারবে ইসরায়েল। এ নিয়ে ট্রাম্পের দেওয়া হুমকিও নাকচ করে দিয়েছে সংগঠনটি।
হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে বলেন, ট্রাম্পের অবশ্যই মনে রাখা উচিত, এ বিষয়ে একটি চুক্তি রয়েছে, যা উভয় পক্ষেরই মেনে চলা উচিত। ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্ত করার এটাই একমাত্র উপায়। হুমকির সুরে কথা বলার কোনো মানে নেই এবং এটি বিষয়টিকে জটিল করবে।
এদিকে সম্ভাব্য সংকট এড়াতে চেষ্টা করছে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো। এ আলোচনার সঙ্গে যুক্ত একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, পরিস্থিতির সংঘাতে মোড় নেওয়া ঠেকাতে নিজেদের ভূমিকা জোরদার করেছেন মধ্যস্থতাকারীরা।
আরও পড়ুনগাজাকে ‘বড় আবাসন এলাকা’ মনে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন না সিসি
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়ন করার বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন না মিসরের প্রেসিডেন্ট আবেদল ফাত্তাহ আল-সিসি। মিসরের দুটি গোয়েন্দা সূত্র এ কথা জানিয়েছে।
১ ফেব্রুয়ারি টেলিফোনে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট সিসি। তখন সিসিকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে এখনো এ সফরের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি বলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অবশ্য এ নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নিতে ওয়াশিংটন সফররত জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহকে চাপ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, কিন্তু বাদশাহ আবদুল্লাহ তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের না সরিয়েই গাজা পুনর্গঠন করা হবে। এ বিষয়ে আরব দেশগুলো একমত।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ওভাল অফিসে দুই নেতা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, গাজা যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া ও উপত্যকাটির বাসিন্দাদের স্থায়ীভাবে সরানোর পরিকল্পনা থেকে তিনি সরে আসবেন না।
জবাবে গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে বাস্তুচ্যুত করার বিরুদ্ধে জর্ডানের ‘অবিচল অবস্থান’ পুনর্ব্যক্ত করেছেন বাদশাহ আবদুল্লাহ। সংবাদ সম্মেলন শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘এটাই আরবদের সম্মিলিত অবস্থান। ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত না করে গাজা পুনর্গঠন করা এবং ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সবার অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুনফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সত্যিই কি শক্ত অবস্থানে মোহাম্মদ বিন সালমান১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে বিতাড়ন করার ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে চীনও। আজ বুধবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গো জিয়াকুন বলেন,‘গাজার মালিক ফিলিস্তিনিরা এবং এটি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা গাজার বাসিন্দাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার বিরুদ্ধে।’
গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়ন করার পরিকল্পনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন আরব লিগের মহাসচিব আহমেদ গেইত। দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আজ গাজার কথা বলা হচ্ছে তো আগামীকাল পশ্চিম তীরে নিজেদের ইতিহাসিক আবাস থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র বল ছ ন মন ত র ন কর ছ কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে ধর্মান্তরের গুজবে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নৈশভোজে পুলিশ ও মবের হানা, মারধরের অভিযোগ
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের জামশেদপুরের একটি হাউজিং সোসাইটিতে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের একটি নৈশভোজের অনুষ্ঠানের সময় ধর্মান্তরের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পুলিশসহ শতাধিক লোক সেই বাড়িতে হানা দেন। কিন্তু পুলিশ পরে জানিয়েছে, ওই বাড়িতে ধর্মান্তরের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
গত ২৬ জুলাই জামশেদপুরের গোলমুড়ি থানা এলাকার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সেখানে ২১ দিনের উপবাস ও প্রার্থনা শেষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রায় ৫০ জন মানুষ রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। কিন্তু স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, দুটি ফ্ল্যাটে কিছু মানুষ জড়ো হয়ে সন্দেহজনক কিছু করছিলেন।
স্থানীয় গোবিন্দপুর গির্জার যাজক জিতু লিমা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘আমাদের গির্জার প্রায় ৫০ জন সদস্য ২১ দিনের উপবাসের সময় ওই দুটি ফ্ল্যাটে থাকছিলেন। তাঁরা প্রায় সবাই আত্মীয় ও পরস্পরের সঙ্গে চেনাজানা।’
জিতু লিমা বলেন, ফ্ল্যাট দুটি কেবল থাকার জন্য ব্যবহার হচ্ছিল। সেখানে কোনো প্রার্থনা বা ধর্মীয় কার্যক্রম হচ্ছিল না। শুধু উপবাসের শেষ দিন রাতের খাবার খেতে সবাই সেখানে সমবেত হয়েছিলেন। এতে ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবাই ছিলেন।
গির্জার যাজক আরও বলেন, এই অবস্থায় সেখানে পুলিশের সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল জনতার একটি দল (মব) হঠাৎ একটি ফ্ল্যাটে ঢুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁরা ছয়জনকে থানায় নিয়ে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গির্জার একজন সদস্য অভিযোগ করেন, পুলিশ ও উচ্ছৃঙ্খল জনতা মিলে তাঁদের হয়রানি করেছে এবং থানায় নিয়ে যাওয়ার পর কিছু লোককে মারধরও করা হয়েছে।
জিতু লিমা অভিযোগ করেন, যে কক্ষে রাতের খাবারের আয়োজন চলছিল, সেখানে রাত ৯টার দিকে মব ঢুকে পড়ে। এরপর পুলিশ ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় এবং কাউকে বের না হতে নির্দেশ দেয়। মবে শতাধিক মানুষ ছিল। কিছু পুলিশ সাদাপোশাকে ছিলেন। তাই বোঝা যাচ্ছিল না, কে পুলিশ আর কে মবের লোক।
গির্জার এই সদস্য অভিযোগ করেন, ‘আমাদের প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছিল। রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমাকেসহ ছয়জনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমাদের কয়েকজনকে চড়-থাপ্পড় মারা হয়েছে। পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাই তাঁদের মারধর করেছেন। তিনি তাঁদের জিজ্ঞেস করেছেন, ‘কেন তোমরা লোকজনকে ধর্মান্তর করছ?’
গোলমুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেন্দ্র কুমার বলেন, ‘কাউকে মারধরের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বরং আমি তাঁদের জল খেতে দিয়েছি এবং তাঁদের সঙ্গে সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করেছি। তবে আমি বাইরে যাওয়ার পর সোসাইটির কেউ হয়তো কিছু করে থাকতে পারে।’
রাজেন্দ্র কুমার বলেন, ওই রাতে বাসিন্দাদের থেকে মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ সেখানে গিয়েছিল। অভিযোগ ছিল, সেখানে ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য থেকে আসা প্রায় ৫০ জন মানুষ সমবেত হয়েছিলেন।
রাজেন্দ্র কুমার বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমরা তৎক্ষণাৎ অন্যায় কিছু করার বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাইনি। কেউ লিখিত কোনো অভিযোগও জমা দেননি।’
রাজেন্দ্র কুমার আরও বলেন, ‘এফআইআর করার আগের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে আমরা থানায় একটি ডায়েরি করেছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ-ছয়জনকে থানায় আনা হয়েছিল। আমরা জমায়েতটির প্রকৃতি নিয়ে তদন্ত করছি, এ ধরনের সমাবেশের জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না, নেওয়া হলে কার নামে নেওয়া হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছি। তাই এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
জামশেদপুরের উপপুলিশ সুপার (ডিএসপি) সুনীল চৌধুরী বলেন, বিষয়টি থানায় রেকর্ড করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
গত বুধবার অল ইন্ডিয়া খ্রিষ্টান মাইনরিটি ফ্রন্টের সহসভাপতি ও সংখ্যালঘু অধিকারকর্মী অজিত তিরকে জামশেদপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ধর্মান্তরের মিথ্যা অভিযোগের অজুহাত তুলে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর নিপীড়ন বাড়ছে।
অজিত তিরকে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আতাল মহল্লা ক্লিনিক প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে মাদার তেরেসার নামে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ওই জমায়েতে ধর্মান্তরের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তা সত্ত্বেও হামলাকারী কিংবা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
জামশেদপুরের ডেপুটি কমিশনার কর্ণ সত্যার্থি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, গোলমুড়ি ও ভূঁইয়াদি এলাকায় সাম্প্রতিক ধর্মান্তরের অভিযোগ সংক্রান্ত দুটি ঘটনার বিষয়ে পুলিশ একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
কর্ণ সত্যার্থি বলেন, গোলমুড়ির ঘটনায় পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিল। সেখানে পুলিশ দুটি দলকে পেয়েছিল। একটিতে ছিল ১০০ থেকে ১৫০ জন। অন্য দলে ছিল প্রায় ৫০ জন। অভিযুক্ত হওয়ার কারণে নয়, বরং নিরাপত্তার জন্য খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের কয়েকজনকে থানায় নেওয়া হয়েছিল।
কর্ণ সত্যার্থি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জোরপূর্বক ধর্মান্তরের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সেখানে যাঁরা ছিলেন তাঁদের মধ্যে মাত্র দুই কি তিনজন অন্য ধর্মের ছিলেন। তাঁরা স্বেচ্ছায় প্রার্থনায় অংশ নিচ্ছিলেন। সমবেতদের বেশির ভাগই খ্রিষ্টান। প্রতিবেদনে জবরদস্তির কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
পুলিশ হেফাজতে মারধরের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডেপুটি কমিশনার বলেন, ‘এমনটি হয়ে থাকলে তা অন্যায়। অপরাধী ও সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে কার সঙ্গে কীভাবে আচরণ করা হবে, সেই ব্যাপারে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। আমরা ঘটনাটি আমলে নিচ্ছি এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে মিলে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
আরও পড়ুনভারতে উড়োজাহাজে সহযাত্রীর থাপ্পড়ের পর খোঁজও মিলছে না যাত্রীর: পরিবারের দাবি৫ ঘণ্টা আগে