কারাগারে থাকা সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও তার স্ত্রী ঊষা রাণী চন্দের নামের পাঁচটি ব্যাংকের একাউন্টে থাকা দেড় কোটি টাকা ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছেন খুলনার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত। 

দুর্নীতি কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক মো. শরীফ হোসেন হায়দার এ আদেশ দিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের খুলনা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো.

আব্দুল ওয়াদুদ।

নারায়ণ চন্দ্র চন্দের নিজ নামে ও তার স্ত্রী ঊষা রাণী চন্দের হিসাব ফ্রিজ করার আদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায় হিসাব সমূহে অর্থ জমা করা যাবে কিন্তু কোন অবস্থাতেই উত্তোলন করা যাবে না।

আদালত জানিয়েছে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্য, জমি দখলসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে, সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ নিজ ও স্ত্রী ঊষা রানী চন্দের নামে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব, এফডিআর ও ব্যাংকে রক্ষিত সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ করার জন্য দুর্নীতি কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক অভিযোগ অনুসন্ধান টিমের দলনেতা মো. আব্দুল ওয়াদুদ আদালতে আবেদন করেন। 

প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুদক সাবেক মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর নিজ নামে সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ডাচ বাংলা ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের অধীনে থাকা সঞ্চয়পত্র একাউন্ট এবং মন্ত্রীর মালিকানাধীন কেপি ব্রিক ফিল্ড ও কনক্রীট ব্রিক্সস এন্ড ব্রিকস ফ্যাক্টরি হিসাবে ১ কোটি ৪৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ৮৩৫ টাকার হিসাব পেয়েছে। 

দুদক খুলনা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, “আদালত মঙ্গলবার এ আদেশ প্রদান করেন। তবে বুধবার তিনি আদেশের কপি হাতে পেয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোতে এই আদেশ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এখন অনিয়মের বিষয়টি অনুসন্ধান করা হবে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে।”

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

না’গঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের আড়াই কোটি টাকার অনুদান ও সঞ্চয়পত্র প্রদান 

জুলাই গণঅভ্যত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির ২১২ জন জুলাই যোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত আর্থিক অনুদানের চেক ও তিন শহীদ পরিবারের সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ আর্থিক অনুদানের চেক ও  সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মানিত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আহত জুলাই যোদ্ধা ও তাঁদের পরিবার, শহিদ পরিবারের সদস্যগণ, ছাত্র প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।

এ সময় ৪ জন শহিদ পরিবারের সদস্যের প্রত্যেককে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়। পাশাপাশি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির ২১২ জন যোদ্ধাকে এককালীন ১ লাখ টাকা করে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীর সন্তানরা আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক গৌরবময় অধ্যায়। তাঁদের সাহসিকতা, আত্মত্যাগ ও অদম্য চেতনা আমাদের জাতি পুনর্গঠনের অনুপ্রেরণা। আমরা বিশ্বাস করি, এই যোদ্ধাদের সাহসিকতা দিয়েই গড়ে উঠবে একটি নতুন, উদ্ভাসিত বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন-অগ্রগতির যাত্রায় আমরা তরুণ সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী ও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করি। সম্মিলিত প্রচেষ্টাই গড়ে তুলবে একটি সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল নারায়ণগঞ্জ।

এদিকে এ অনুষ্ঠানটি শুধু অনুদান বিতরণ নয়, বরং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান জানানোর এক অনবদ্য প্রয়াস হয়ে উঠেছিল।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • না’গঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের আড়াই কোটি টাকার অনুদান ও সঞ্চয়পত্র প্রদান 
  • জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের সাবেক ডিজির এনআইডি ব্লক