সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র ও তাঁর স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের নির্দেশ
Published: 13th, February 2025 GMT
সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের নিজ নামে এবং তাঁর স্ত্রী ঊষা রাণী চন্দের ৫টি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে থাকা দেড় কোটি টাকা ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছেন খুলনার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক মো. শরীফ হোসেন হায়দার মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার আদেশের চিঠি দুদক ও ব্যাংকগুলোতে পৌঁছায়।
নারায়ণ চন্দ্র চন্দের নিজ নামে ও তাঁর স্ত্রী ঊষা রাণী চন্দের হিসাব ফ্রিজ করার আদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায় হিসাবগুলোতে অর্থ জমা করা যাবে কিন্তু কোনো অবস্থাতেই উত্তোলন করা যাবে না।
আইনজীবীরা জানান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ করে নিয়োগ বাণিজ্য, জমি দখলসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের অভিযোগ রয়েছে। উপার্জিত অর্থ নিজ ও স্ত্রী ঊষা রানী চন্দের নামে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব, এফডিআর ও ব্যাংকে রক্ষিত সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ করার জন্য দুর্নীতি কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অভিযোগ অনুসন্ধান টিমের দলনেতা মো.
প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুদক সাবেক মন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীর নিজ নামে সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ডাচ বাংলা ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের অধীনে থাকা সঞ্চয়পত্র অ্যাকাউন্ট এবং সাবেক মন্ত্রীর মালিকানাধীন কেপি ব্রিক ফিল্ড ও কনক্রিট ব্রিকস অ্যান্ড ব্লকস ফ্যাক্টরির হিসাবে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩৫ টাকা হিসাবের তথ্য পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৬ অক্টোবর ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় নারায়ণ চন্দ্রকে আটক করে বিজিবি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব য ক অ য ক উন ট ব য ক অ য ক উন ট ফ র জ মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন।
আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি
৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”
আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ