চ্যাটজিপিটির দুই কোটি ব্যবহারকারীর লগইন তথ্য সংগ্রহের দাবি করেছে এক হ্যাকার
Published: 14th, February 2025 GMT
মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত (এআই) চ্যাটবট ‘চ্যাটজিপিটি’ যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দ্রুত ও নির্ভুলভাবে জানাতে পারে। ব্যবহারকারীর নির্দেশমতো নিজ থেকে বার্তা, নিবন্ধ বা কবিতাও লিখে দেয় চ্যাটবটটি। আর তাই অনেকেই নিয়মিত চ্যাটবটটি ব্যবহার করেন। কিন্তু চ্যাটজিপিটির ‘অথেনটিকেশন’ প্রযুক্তিতে নিরাপত্তাত্রুটির সন্ধান পেয়েছেন এমিরকিং নামের এক রুশ হ্যাকার। এই নিরাপত্তাত্রুটি কাজে লাগিয়ে এরই মধ্যে চ্যাটজিপিটির দুই কোটি ব্যবহারকারীর লগইন তথ্য সংগ্রহ করার দাবিও করেছেন তিনি।
এমিরকিং নামে পরিচিত হ্যাকার রুশ ভাষায় এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যখন বুঝলাম, ওপেনএআই হয়তো একসঙ্গে অনেক অ্যাকাউন্ট যাচাই করতে পারে, তখন নিশ্চিত হলাম আমার পাসওয়ার্ড গোপন থাকবে না। আমার হাতে ওপেনএআইয়ের দুই কোটির বেশি অ্যাকসেস কোড রয়েছে। আগ্রহী কেউ চাইলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। এটি এক বিশাল সম্পদ।’
সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যালওয়্যারবাইটস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এত বিপুলসংখ্যক লগইন তথ্য ফিশিং আক্রমণের মাধ্যমে সংগ্রহ করা কঠিন। যদি হ্যাকারের দাবি সত্যি হয়, তবে তিনি ওপেনএআইয়ের সাবডোমেইনের নিরাপত্তাত্রুটি কাজে লাগিয়ে বা অ্যাডমিন অ্যাকসেস হাতিয়ে নিয়ে এই তথ্য সংগ্রহ করেছেন। যদিও এখন পর্যন্ত ওপেনএআই আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, ফাঁস হওয়া ওপেনএআইয়ের লগইন তথ্য সাইবার অপরাধীদের হাতে গেলে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে লক্ষ্যভিত্তিক ফিশিং আক্রমণ, আর্থিক প্রতারণা ও ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এ ছাড়া ফাঁস হওয়া অ্যাকাউন্টের তথ্য ব্যবহার করে ওপেনএআইয়ের অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই) অননুমোদিতভাবে ব্যবহার করা হতে পারে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলে নতুন করে শুরু ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
আজ সোমবার সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।
সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।
সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’
তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।