বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাথে সিগালর্স হোটেল কক্সবাজার ও সিগাল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা ভিলেজ টাঙ্গাইলের মধ্যে  চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।

এই চুক্তির অধীনে, বিসিবিএল ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডধারীরা এখন উভয় সিগালে বিলাসবহুল থাকা, ভালো খাবার এবং প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতার উপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মোঃ মোহাসিন মিয়া (চেয়ারম্যান, বোর্ড এক্সিকিউটিভ কমিটি), মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন (ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, বিসিবিএল), মোহাম্মদ জিয়াউল করিম (উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিসিবিএল), এবং জনাব ইমাম উদ্দিন আহমেদ সাদি (জেনারেল ম্যানেজার হোটেল মার্কেটিং এন্ড সেলস) উপস্থিত ছিলেন। 

ইমাম উদ্দিন আহমেদ সাদি জানান, বিসিবিএল কার্ডধারীদের বিলাসিতা, স্বাচ্ছন্দ্য এবং শিথিলতার জন্য স্বাগত জানাতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত যা আগে কখনও হয়নি। বাংলাদেশের ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্পে এক বিশ্বস্ত ও আস্থার নাম সিগাল গ্রুপ। দীর্ঘদিন ৫ তারকা মানের প্রকৃত সেবা দিয়ে আসছে এই গ্রুপটি। ঢাকার আশপাশে কোথাও ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতে যেতে চাইলে যেতে পারেন সিগ্যাল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা ভিলেজে। 

ঢাকার প্রাণকেন্দ্র থেকে রওনা দিলে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার ভেতরে পৌঁছে যেতে পারবেন টাঙ্গাইলে সিগ্যাল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা ভিলেজে। সেখানে থাকছে ডে লং ট্রিপ ও নাইট স্টে করার সুযোগ। 

সাদি বলেন, কক্সবাজারকে বলা হয় দেশের পর্যটন রাজধানী। কিন্তু ভ্রমণের জায়গাটি হতে হবে নিরাপদ। এজন্য কক্সবাজারে আছে ঐতিহ্যবাহী পাঁচ তারকা হোটেল সিগাল। বিপুল পর্যটকদের রাত্রিযাপন নিশ্চিত করতে সমুদ্র সৈকতের কাছে তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য আবাসিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট এবং কটেজ। কিন্তু সবগুলোতে নেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। নেই নিরাপত্তা। কিন্তু হোটেল ‘সিগাল’ এসব দিক থেকে ব্যতিক্রম এবং ঐতিহ্যবাহী। দীর্ঘদিন যাবত একই রকমভাবে গ্রাহকদের পাঁচ তারকা মানের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছি আমরা।

শান্ত//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব স ব এল

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেঁষে একের পর এক অঘোষিত ভাগাড়, বর্জ্য ফেলে পরিবেশদূষণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের হাড়াতলী এলাকা। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার এই এলাকায় গেলে দূর থেকেই নাকে ভেসে আসে উৎকট দুর্গন্ধ। মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনের পাশে চোখে পড়ে সারি সারি ময়লার স্তূপ। মহাসড়কের পাশ যেন হয়ে উঠেছে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগাড়ে।

শুধু হাড়াতলী এলাকাই নয়; ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশের বেশ কয়েকটি স্থানে এমন অঘোষিত ভাগাড় গড়ে উঠেছে। মহাসড়কের প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে কুমিল্লা জেলার অংশ। এর মধ্যে অন্তত ২০টি স্থানে একইভাবে ময়লা ফেলা হচ্ছে। কোথাও কোথাও সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মতো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান মহাসড়কের পাশে তাদের সংগ্রহ করা ময়লা ফেলছে। এতে মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন স্থানে আবর্জনার স্তূপ দিন দিন বাড়তে, মহাসড়ক পরিণত হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ভাগাড়ে। এভাবে পরিবেশদূষণ বেড়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লার সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এভাবে বর্জ্য ফেলার কারণে পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যদি সঠিকভাবে করতে না পারে, তাহলে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের কাজটা কী? মানুষ তো ট্যাক্স দেয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য। এভাবে ময়লা-আবর্জনা ফেলা একধরনের অপরাধও। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এসব বিষয়ে কঠোর হওয়া দরকার।

হাড়াতলী এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, প্রায় দুই বছর আগে স্থানটিতে ময়লা ফেলা শুরু করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন। এরপর সেটি ধীরে ধীরে পরিণত হয় ভাগাড়ে। দিন যত গেছে, ময়লা ফেলার জায়গাটির আকার ততই দীর্ঘ হয়েছে। এ কারণে ওই স্থান দিয়ে হেঁটে চলাচল করা বেশ দুষ্কর হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন আশপাশের বসবাসকারীরা। ভাগাড়ের আশপাশে অন্তত তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও ময়লার দুর্গন্ধে নাকাল।

এভাবে পরিবেশদূষণ বন্ধে আমরা দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করছি। তবে এ বিষয়ে মূল দায়িত্বটা পালন করতে হবে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে।মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীব, উপপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লা

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ময়লা ফেলতে আমরা বারবার বাধা দিয়েছি, কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। সিটি করপোরেশন সবুজে ঘেরা এলাকাটির বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। এখনো প্রতিদিন ময়লা বাড়ছে। সিটি করপোরেশন বলে, তারা নাকি এখন ময়লা ফেলে না। তাহলে আমাদের প্রশ্ন, ময়লা কারা ফেলছে?’

স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, শ্রেণিকক্ষে বসা যায় না দুর্গন্ধের জন্য। একটু বাতাসেই নাকে ভেসে আসে ময়লার দুর্গন্ধ। কলেজে প্রবেশের সময় নাক চেপে ধরে আসতে হয়। এ ছাড়া পরিবেশও মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে।

জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, হাড়াতলীতে তিন মাস ধরে তাঁরা আবর্জনা ফেলছেন না। সিটি করপোরেশনের ফেলা ময়লাগুলো ভেকু দিয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এখন রাতের আঁধারে আশপাশের লোকজন এবং বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলছে। যারা ময়লা ফেলছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার প্রবেশমুখ বালুজুড়ি এলাকায় ময়লার ভাগাড়

সম্পর্কিত নিবন্ধ