নাটোরে যুবলীগ নেতাকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
Published: 14th, February 2025 GMT
নাটোরে যুবলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক ডাবলুকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে ছাত্র-জনতা।
শুক্রবার দুপুরে শহরের গাড়িখানা মসজিদের সামনে তাকে আটক করে ছাত্র-জনতা। এ সময় ডাবলুকে মারধর করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ডাবলু নাটোর সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি।
ডাবলুর পরিবারের সদস্যরা জানান, জুমার নামাজ শেষে বাড়িতে ফেরার সময় ডাবলু ওপর হামলা ও মারধর করে অজ্ঞাতপরিচয় লোকজন। পরে তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ডাবলুসহ সবুজ আহমেদ নামে এক যুবলীগ কর্মীকে থানায় নিয়ে যায়।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান জানান, ডাবলুর বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলার মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’
৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর
শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।
পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।
মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম