জাতিসংঘ কর্তৃক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং এর তদন্তে গুম-খুন ও গনহত্যায় জড়িত প্রামানিত হওয়ায় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে যুবদলের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় থেকে শুরু করে বিক্ষোভ মিছিলটি কাঁচপুর ইউটার্ন হয়ে রেন্ট-এ কার ষ্ট্যান্ডে সামনে দিয়ে গিয়ে পেপার মিলস এলাকা গিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি সমাপ্ত করা হয়। এসময় মিছিলে নেতাকর্মীরা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ৪নং ওয়ার্ড যুবদল নেতা ইব্রাহিম হোসেনের নেতৃত্বে এবং ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা হাজী কবির হোসেনের সার্বিক তত্তাবধানে নেতাকর্মীদের নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ মিছিলের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতাকর্মীরা বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশে ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হাজার হাজার ছাত্র, নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষদের হত্যা করা হয়েছে।

সেই হত্যার ঘটনা জাতিসংঘ কর্তৃক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং এর তদন্তে গুম-খুন ও গনহত্যায় জড়িত প্রামানিত হয়েছে। তাই ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে যুবদলের নেতাকর্মীরা আজ রাজপথে বিক্ষোভ করেছে। 

এ সময় নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী দোসরদেরও আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আনার দাবি জানান।

বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, নারায়রগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সম্পাদক সম্রাট আকবর, নারায়রগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সিফাতুর রহমান রাজু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো.

সেলিম মাহমুদ, মো. রুবেল মাহমুদ, মো. শাহিন, মো. বাবু, মো. রিফাত, মো. সিফাত, আনন্দ, মো. আকাশ হোসেন, মো. আসিফ, মো. শাহিন হোসেন, মো. সালাউদ্দিন, মো. বাপ্পি, মো. সারওয়ার হোসেন, মো. রিপন ও মো. মোকতার হোসেন সহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা প্রমুখ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ য বদল ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ ন ত কর ম র য বদল

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ