দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল এক দিনে ৪ লাখের বেশি যাত্রী পরিবহনের রেকর্ড গড়েছে। এর আগে এক দিনে সাড়ে ৩ লাখের বেশি যাত্রী পরিবহনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে মেট্রোরেল।

বর্তমানে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে উভয় দিকে যাত্রী পরিবহন করছে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মেট্রোরেল ৪ লাখ ৩ হাজার ১৬৪ জন যাত্রী পরিবহন করেছে। এ মাইলফলক অর্জনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সম্মানিত যাত্রী, শুভানুধ্যায়ী এবং অংশীজনদেরকে মেট্রোরেল পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো হচ্ছে।

আরো বলা হয়, এ মহতি লক্ষ্য অর্জনে সার্বিক নির্দেশনা ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং সিনিয়র সচিব মো.

এহছানুল হকের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। সম্মানিত মেট্রো যাত্রীদের সেবায় আমরা নিবেদিত। আগামীর পথচলায় আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোতে রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের (আরআরআর) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ে সভায় ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেছিলেন, “গত ৩ ফেব্রুয়ারি সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৮২ হাজার প্যাসেঞ্জার মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছে, যা শুরুর দিকে ছিল ১৫-২০ হাজার। আমাদের টার্গেট হচ্ছে—সাড়ে ৫ লাখ যাত্রী পরিবহন করা। আমরা যদি হেডওয়ে কমাই, তাহলে এটি আর বেশি দিন দূরে নয়। আমরা যদি টঙ্গী পর্যন্ত চালু করতে পারি তাহলে আমাদের যাত্রী আরো বাড়বে।”

ঢাকা/হাসান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র বহন

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে সীতাকুণ্ডের ৪ বিএনপি নেতা বহিষ্কার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, হানাহানি ও রাস্তা অবরোধসহ নানাবিধ জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আরো পড়ুন:

নির্বাচন: বিএনপির যে প্রার্থীদের সঙ্গে লড়বেন এনসিপির শীর্ষ নেতারা

বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নেই তারকারা

বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আলাউদ্দিন মনি, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বাবর, সীতাকুন্ড পৌরসভার আহ্বায়ক মামুন, যুবদলের সোনাইছড়ীর সাধারণ সম্পাদক মমিন উদ্দিন মিন্টু।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যার পরে দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে তারা (বহিষ্কৃতরা) চট্টগ্রাম উত্তর জেলাধীন সীতাকুন্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কদমরসুল, ভাটিয়ারী বাজার, জলিল গেট এলাকায় সহিংসতা, হানাহানি ও রাস্তা অবরোধসহ নানাবিধ জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন। এসব কর্মকাণ্ডের জন্য দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে এই চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত তরা সবাই সীতাকুণ্ডে মনোননয় বঞ্চিত বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ