ইলন মাস্কের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল ওপেন এআই
Published: 15th, February 2025 GMT
৯ হাজার ৭৪০ কোটি ডলারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রস্তুতকারী কোম্পানি ওপেন এআই কিনতে চেয়েছিলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ইলন মাস্ক। কিন্তু তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। খবর এএফপির।
গতকাল শুক্রবার এক্সে দেওয়া এক বার্তায় বিশ্বের জনপ্রিয় চ্যাটবট চ্যাট জিপিটির নির্মাতা কোম্পানির চেয়ারম্যান ব্রেট টেইলর বলেছেন, ওপেন এআই বিক্রির জন্য নয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে প্রতিযোগিতা ব্যাহত করতে সম্প্রতি ইলন মাস্ক কোম্পানি ক্রয়ের যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাকে নির্বাহী বোর্ডের সবার সম্মতিক্রমে প্রত্যাখ্যান করছে ওপেন এআই। নির্বাহী বোর্ডের সদস্যদের পক্ষ থেকে আমি কোম্পানির এ অবস্থান স্পষ্ট করলাম।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে একটি অলাভজনক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে ওপেন এআই। কোম্পানিটির সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাঝ্যের সানফ্রান্সিসকো শহরে। ইলন মাস নিজে এই কোম্পানির অন্যম সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন; তবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠাতারা কোম্পানির ‘অলাভজনক’ অবস্থানের পক্ষে দৃঢ় থাকায় অল্প কিছুদিন পরেই ওপেন এআই ছেড়ে চলে যান তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেড আই খান পান্না। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।
বক্তব্যে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু। আজ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দেখি, জুতা দিয়ে বাড়ি দিতে দেখি, কিন্তু কিছু করতে পারি না। তাই আমি সবচেয়ে বড় অসহায়।’
এসব কথা বলতে বলতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন, তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও সঙ্গে এর তুলনা চলে না। এটা সাম্প্রদায়িকতার দেশ না। সংবিধানে যেন কেউ হাত না দেয়। সরকারের অনেকেই বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখাচ্ছেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। সমাজে ন্যায়বিচার বা সুবিচার পাওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার হয় না। কেউ কেউ ধরা পড়লেও পরে বেরিয়ে যায়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, সব সরকারের আমলেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। বর্তমান নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। সংস্কার কমিশনে সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হলেও সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া আসে না, এমনকি দুঃখও প্রকাশ করে না।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হলে তা দমন করতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সুমন কুমার দাবি করেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের বাক্স্বাধীনতা বন্ধ করতে, নেতৃত্ব দমন করতে এসব করা হচ্ছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে কে পাল। সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের বাংলাদেশ চ্যাপটারের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।