৯ হাজার ৭৪০ কোটি ডলারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রস্তুতকারী কোম্পানি ওপেন এআই কিনতে চেয়েছিলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ইলন মাস্ক। কিন্তু তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। খবর এএফপির।

গতকাল শুক্রবার এক্সে দেওয়া এক বার্তায় বিশ্বের জনপ্রিয় চ্যাটবট চ্যাট জিপিটির নির্মাতা কোম্পানির চেয়ারম্যান ব্রেট টেইলর বলেছেন, ওপেন এআই বিক্রির জন্য নয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে প্রতিযোগিতা ব্যাহত করতে সম্প্রতি ইলন মাস্ক কোম্পানি ক্রয়ের যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাকে নির্বাহী বোর্ডের সবার সম্মতিক্রমে প্রত্যাখ্যান করছে ওপেন এআই। নির্বাহী বোর্ডের সদস্যদের পক্ষ থেকে আমি কোম্পানির এ অবস্থান স্পষ্ট করলাম।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে একটি অলাভজনক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে ওপেন এআই। কোম্পানিটির সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাঝ্যের সানফ্রান্সিসকো শহরে। ইলন মাস নিজে এই কোম্পানির অন্যম সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন; তবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠাতারা কোম্পানির ‘অলাভজনক’ অবস্থানের পক্ষে দৃঢ় থাকায় অল্প কিছুদিন পরেই ওপেন এআই ছেড়ে চলে যান তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক ইলন ম স

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশিদের বন্দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালসহ চট্টগ্রাম বন্দরের স্থাপনা দেশি বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে গণ–অনশন কর্মসূচি পালন করছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে শুরু হওয়া অনশন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

সকালে শতাধিক শ্রমিক প্রেসক্লাব চত্বরে জড়ো হন। একে একে বক্তব্য দেন শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন নেতা-কর্মী। তাঁরা দাবি করেন, দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব সক্ষমতায় সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এখানে বিদেশি অপারেটরের প্রয়োজন নেই।

স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান খান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিজস্ব ব্যবস্থাপনাতেই ভালোভাবে চলছে। বছরে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করে এই প্রতিষ্ঠান। এমন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। ফলে সরকারকে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে।

কর্মসূচিতে বক্তারা অভিযোগ করেন, লাভজনক প্রতিষ্ঠান হয়েও নিউমুরিং টার্মিনাল ও লালদিয়া চর বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁরা বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ কোনোভাবেই এটি সফল হতে দেবে না। বন্দর বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া মানে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে খেলা।

অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক শফি উদ্দিন কবির বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার কাউকে না জানিয়ে বিদেশিদের হাতে বন্দর তুলে দেওয়ার চুক্তি করেছিল। বর্তমান সরকারও সেটি পর্যালোচনা না করে বাস্তবায়ন করছে। এটি দেশের মানুষের কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগ ও পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগ নিয়ে দেশে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের তৃতীয় মেয়াদে শুরু হওয়া সেই প্রক্রিয়া বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও এগিয়ে নিচ্ছে।

এর আগে গত ২২ অক্টোবর ইজারা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে স্কপ। সমাবেশ শেষে বন্দর এলাকার দিকে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। ওই কর্মসূচি থেকেই আজকের গণ–অনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ২৭ অক্টোবর ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশিদের বন্দর দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে