টাঙ্গাইলের মধুপুরে দুই সংগঠনের বাধার মুখে স্থগিত হওয়া লালন স্মরণোৎসব ২০২৫ আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক সবুজ মিয়া এ তথ্য জানান।

এর আগে গত বুধবার অনুষ্ঠানটি মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে হওয়ার কথা ছিল। হেফাজতে ইসলাম ও কওমি ওলামা পরিষদের মধুপুর শাখার নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে ওই অনুষ্ঠান স্থগিত হয়। এ নিয়ে সমালোচনা হয়।

পরে উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেয়। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে এক সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে লালন স্মরণোৎসব আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মধুপুর মিলনায়তনে করার সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে ইউএনও মো.

জুবায়ের হোসেন, সেনাক্যাম্প কমান্ডার মেজর শোয়েব, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন সরকার, মধুপুর লালন সংঘের সভাপতি ফরহাদ হোসেন তরফদার, সাধারণ সম্পাদক গৌতম চন্দ্র সাহা, অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক মো. সবুজ মিয়া, হেফাজতে ইসলামের উপজেলা সভাপতি মুফতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল্লাহ, কারি মোদাচ্ছের হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনদুই সংগঠনের বাধা, টাঙ্গাইলের মধুপুরে লালন স্মরণোৎসব স্থগিত১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

লালন স্মরণোৎসব উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক সবুজ মিয়া বলেন, লালন সাঁইজির ১৩৪তম তিরোধান বর্ষ উপলক্ষে মধুপুর লালন সংঘ ১২ ফেব্রুয়ারি লালন স্মরণোৎসব ২০২৫ আয়োজন করে। কয়েকটি ইসলামি দলের বাধায় অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে উপজেলা প্রশাসন ও মধুপুরের সেনাক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেন। উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে সমঝোতার মাধ্যমে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে মধুপুর হেফাজতে ইসলাম প্রতিশ্রুতি দেয়, অনুষ্ঠান আয়োজনে তারা কোনো বাধা দেবে না। মধুপুর লালন সংঘ থেকে বিতর্কিত বক্তব্য, মতবাদ, তথ্য ও সংগীত উপস্থাপিত হবে না মর্মেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২৩ ফ ব র য় র অন ষ ঠ ন ইসল ম উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের কাছে আবারো ইলিশের জন্য অনুরোধ করেছে ভারত

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশের রূপালি ইলিশ চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য ব্যবসায়ী সংগঠন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সেই চিঠি দেওয়া হয়েছে কলকাতার ফিস ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে।

আর মাত্র ২ মাসের কম সময় বাকি দুর্গোৎসবের। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে, এরপর ভারতজুড়ে কালীপূজা, দীপাবলি ইত্যাদি। এই উপলক্ষে গত কয়েক বছর ধরে পূজা মৌসুমে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি করে থাকে বাংলাদেশ সরকার। যদিও তা করা হয় ভারতের অনুরোধে। আর এবারও সেই অনুরোধের ব্যতিক্রম হলো না। 

গত বছর পূজা মৌসুমে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপের কারণে ইলিশ এসেছিল ভারতে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, “অত্যন্ত বিনীত ও শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, গত বছর আপনার হস্তক্ষেপের ফলে, ভারত ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছিল। পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরার মৎস প্রেমীদের জন্য একটি সুস্বাদু এবং জনপ্রিয়।” 

আরো পড়ুন:

সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ

শেষ ম্যাচের আগে ভারতের শিবিরে ধাক্কা, বিশ্রামে বুমরাহ

এরপরই লেখা হয়েছে, “দুর্গাপূজা-২০২৫ এর কাউন্টডাউন শুরু হওয়ায়, আমরা আপনাকে আসন্ন দুর্গাপূজার জন্য ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য এ বছর দুর্গাপূজা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পড়েছে।” 

তবে প্রতিবছর অনুমোদিত ইলিশের সম্পূর্ণ কোটা রপ্তানি না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “গত বছর আপনার অফিস কর্তৃক প্রদত্ত ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছের মধ্যে মাত্র ৫৭৭ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছিল। তার আগের বছর (২০২৩) ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টনের মধ্যে মাত্র ৫৮৭ মেট্রিক টন, ২০২২ সালে ২ হাজার ৯০০ মেট্রিক টনের মধ্যে ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন এবং ২০২১ সালে ৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টনের মধ্যে ১২শ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করেছি।” 

এই সমস্যার কারণ হিসেবে রপ্তানির জন্য বেঁধে দেওয়া সময়সীমাকে দায়ী করা হয়েছে। ফিশ ইম্পোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, “প্রায় প্রতি বছরই আমরা অনুমোদিত ইলিশ মাছের সম্পূর্ণ পরিমাণ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হই। কারণ রপ্তানি পারমিটগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে। যেমন ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিমাণ রপ্তানি করতে হয়। এত বিশাল পরিমাণ রপ্তানির জন্য এই সময়সীমা আসলে যথেষ্ট নয়। তাই আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ, যে দয়া করে কোনো সময়সীমা ছাড়াই ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হোক।” 

চিঠিতে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।

বর্তমান সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে আরো শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে ব্যবসায়ীদের এ সংগঠন।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে দ্বাদশের ইটিসি-বিটিসি-বিষয়-গ্রুপ-ছবি পরিবর্তন, শুরু ১ আগস্ট থেকে
  • ব্র্যাকে জেলা পর্যায়ে ম্যানেজার নিয়োগ, স্নাতকে আবেদন
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১ আগস্ট ২০২৫)
  • সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বাণিজ্য-বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করবে: ঢাকা চেম্বার
  • বিএনপির সাবেক নেতার হুমকি, সরিয়ে ফেলা পোস্টার ইউএনওকেই লাগাতে হবে
  • এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা নিয়ে নির্দেশনা মাউশির, কে কত টাকা পাবেন
  • ফেস্টুন অপসারণ করায় ইউএনওকে শাসালেন বিএনপি নেতা 
  • বাটা সু’র মুনাফা কমেছে ২৬.৮৪ শতাংশ
  • বাংলাদেশের কাছে আবারো ইলিশের জন্য অনুরোধ করেছে ভারত
  • মেঘনায় নদীতে অবৈধ বালু তোলায় ব্যবহৃত ৭টি খননযন্ত্র ও ১টি বাল্কহেড জব্দ