বিএনপির রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন, তিস্তার করালগ্রাসে মানুষ ঘরহীন হয়েছে। কিন্তু সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে তিস্তার পানি চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। ভারতের আপত্তির কারণে চীনের অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এ অঞ্চলকে সমৃদ্ধিশালী করতে চাইলে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য যৌথ নদী রক্ষা কমিশনের বৈঠকে তিস্তার পানির হিস্যা না পেলে সরকারকে আন্তর্জাতিক আইনের দ্বারস্থ হতে হবে।

১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি দুই দিন তিস্তা নদীর তীরবর্তী স্থানে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি উপলক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি। আজ শনিবার দুপুরে রংপুর নগরীর নর্থ ভিউ হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুল হাবিব।

আসাদুল হাবিব বলেন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তাপারের ১১টি পয়েন্টে তাঁবু খাঁটিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেবেন। এ ছাড়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ ১৪ নেতার বিভিন্ন পয়েন্টে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদীর কাউনিয়া সেতু, মহিপুর সেতু এবং তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টসহ লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, রংপুর, নীলফামারীর ১১ পয়েন্টে তাঁবু খাটিয়ে একই সময়ে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তিস্তা নদীর রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়কারী ও বিএনপির রংপুর মহানগর শাখার আহ্বায়ক সামসুজ্জামান, সদস্যসচিব মাহফুজ উন নবী, জেলা আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্যসচিব আনিসুর রহমান, কাউনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরপিইউজ) সভাপতি সালেকুজ্জামান প্রমুখ।

আরও পড়ুনতিস্তা নিয়ে বিএনপি নেতা আসাদুল হাবিব, ‘এখন আর আমরা ভারতের কথা শুনব না’১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান

বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানকে নিয়ে রাজকুমার হিরানি নির্মাণ করেন আলোচিত সিনেমা ‘পিকে’। ২০১৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে সুপারডুপার হিট হয়।

এ সিনেমা মুক্তির আগে প্রকাশিত হয় আমিরের পোস্টার। সিনেমাটিতেও নগ্ন আমিরের দেখা মেলে। তারপর দারুণ আলোচনায় উঠে আসেন এই অভিনেতা। সমালোচনাও কম সইতে হয়নি তাকে। এখানেই শেষ নয়, হিন্দু ধর্মের প্রতি কটাক্ষ করার অভিযোগে তীব্র সমালোচনা মুখে পড়েন আমির। ভাঙচুর করা হয় প্রেক্ষাগৃহ।

প্রায় এক যুগ পর এসব বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন আমির খান। ইন্ডিয়া টিভি চ্যানেলের ‘আপ কি আদালত’ শোয়ে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন আমির। তার ভাষায়— “ধর্ম নয়, ধর্মের নামে যারা প্রতারণা করে ‘পিকে’ সেসব লোকদের সমালোচনা করেছে।”

আরো পড়ুন:

জোড়া লাগল অর্জুন-মালাইকার ভাঙা প্রেম!

অন্তঃসত্ত্বা কিয়ারাকে কী উপহার দিলেন রাম চরণ?

ব্যাখ্যা করে আমির খান বলেন, “তারা ভুল। আমরা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নই। আমরা সমস্ত ধর্ম ও সমস্ত ধর্মের মানুষদের শ্রদ্ধা করি। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা কামায়, তাদের বিষয়ে সচেতন করাই ‘পিকে’ সিনেমার উদ্দেশ্য ছিল। প্রতিটি ধর্মেই এমন লোক পাওয়া যায়।”

‘পিকে’ সিনেমায় পাকিস্তানি এক মুসলিম ছেলেরি প্রেমে পড়ে ভারতীয় হিন্দু ধর্মের অনুসারী এক নারী (আনুশকা শর্মা)। এটাকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে আমির খান বলেন, “সবসময়ই এটিকে লাভ জিহাদ বলা উচিত নয়। এটি মানবতা। মানবতা ধর্মের উর্ধ্বে।”

গত ৭-৮ বছরে দেশদ্রোহী, হিন্দুবিরোধী হওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন আমির খান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম। আমি গর্বিত আমি একজন ভারতীয়। দুটোই একসঙ্গে সত্যি হতে পারে।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ