জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, রাজাকার-রাজাকার গালি দেওয়ার দিন শেষ। কী দিন আসলো, আল্লাহ আমাদের দেখাইছে। রাজাকার শব্দটি এখন অ্যাওয়ার্ড হয়ে গেছে। পরিস্থিতি পাল্টে দিতে আল্লাহর সময় লাগে না।

শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর সামাজিক সংগঠন আল ইসলাম ট্রাস্ট আয়োজিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, আমাদের বলে মৌলবাদী। আমরা আসল কথা বলি, ভালো কথা বলি, দেশপ্রেমের কথা বলি, জনগণের কথা বলি, আমরা মা-মাটির কথা বলি, ইসলামের কথা বলি, দেশের সমৃদ্ধির কথা বলি। এজন্য আমাদের বলে মৌলবাদী। আবার আমাদের বলে ধর্ম ব্যবসায়ী। আমরা ধর্মের কথা প্রচার করি, যেটা দেশের জন্য, জনগণের জন্য ভালো।

তিনি আরও বলেন, যারা ইসলামের কথা বলে, কোরআনের কথা বলে তারা ধর্মব্যবসায়ী নয়। খবরদার আলেমদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না, নিজেকে ইসলামের বিরুদ্ধে দাঁড় করাবেন না। এদেশের আসল পরিচয় ইসলাম। ধৈর্য এমন এক গাছ, এই গাছের চারদিকে কাঁটা কিন্তু এই গাছের ফল সুমিষ্ট। আপনারা ১৬ বছর ধৈর্য ধরেছেন, ফল দিয়েছে আল্লাহ। বিপদ আসবে, জুলুম আসবে। ধৈর্যধারণ করবেন ফলাফল পেয়ে যাবেন।  

এর আগে ড.

মিজানুর রহমান আজহারীকে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানালে দুই হাত উঁচিয়ে উপস্থিতি লাখো জনতাকে শুভেচ্ছা জানান আজহারী।

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, আজ এই মঞ্চে বিএনপির প্রিন্স ভাই (বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স) জেলা বিএনপির পুরো টিম নিয়ে এসেছেন। জামায়াতের আকন্দ ভাই এসেছেন। বৈষম্যবিরোধীরাও এসেছে। এতে বুঝা যায় পুরো বাংলাদেশ আজকের এই মঞ্চে। এটা অনেক সুন্দর।  

বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে আমন্ত্রিত মুফাসসির হিসেবে বক্তব্য রাখেন এটিএন বাংলার আলোচক শাহ ওয়ালী উল্লাহ, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের খতিব মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও কুমিল্লার মাওলানা মনিরুল ইসলাম মজুমদার।

উল্লেখ্য, আজহারীর মাহফিল উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহ নগরীতে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হয়। এতে নগরজুড়ে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় সার্কিট হাউজ মাঠসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মোট ২২টি বড় পর্দায় এই মাহফিল সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এছাড়াও নগরীর জিলা স্কুল হোস্টেল মাঠে শুধু নারীদের বসার ব্যবস্থা করা হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। আজহারীর বক্তৃতা প্রচারের জন্য প্রায় ২ শতাধিক মাইক লাগানো হয়েছে অনুষ্ঠানস্থলসহ আশপাশের এলাকায়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম জ ন র রহম ন আজহ র ম জ ন র রহম ন আজহ র ইসল ম র আম দ র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিকোলাস মাদুরোর দিন ফুরিয়ে এসেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। খবর বিবিসির। 

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করতে যাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিবিএস নিউজের ৬০ মিনিটসকে বলেন, “আমার সন্দেহ রয়েছে। আমার মনে হয় না। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করছে।”

আরো পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

ক্যারিবীয় অঞ্চলে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে নৌযানগুলোতে মার্কিন হামলা অব্যাহত থাকার মধ্যে ট্রাম্পের এই মন্তব্য এলো। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এই হামলা প্রয়োজনীয়।

ট্রাম্প এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন যে, ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান মাদক বন্ধ করার লক্ষ্যে নয়, বরং ট্রাম্প বিরোধী মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি ‘অনেক কিছু’ সম্পর্কে।

বিবিসির মার্কিন নিউজ পার্টনার সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্যারিবীয় ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত হয়েছে।

সম্প্রতি ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “মার্কিন হামলায় আপনি যেসব নৌযানে বিস্ফোরণ হতে দেখেন, তার প্রতিটিতে অন্তত ২৫ হাজার মাদকদ্রব্য ধ্বংস হয়। এগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সরবরাহের জন্য দায়ী।”

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্থলপথে ভেনেজুয়েলায় হামলার পরিকল্পনা করছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প তা উড়িয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমি এটা বলতে চাই না যে আমি এটা করব...আমি ভেনেজুয়েলার সাথে কী করব, আমি তা করব কিনা, তা আমি বলব না।”

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করার অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর অভিযোগ, নৌযানগুলোতে হামলা চালানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকায় ‘আধিপত্য বিস্তার’ করার চেষ্টা করছে।

ট্রাম্প জানান, তার সরকার ‘সারা বিশ্ব থেকে’ সন্ত্রাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে ‘আসতে’ দেবে না।

তিনি বলেন, “তারা কঙ্গো থেকে আসে, তারা সারা বিশ্ব থেকে আসে, তারা আসছে, কেবল দক্ষিণ আমেরিকা থেকে নয়। তবে বিশেষ করে ভেনেজুয়েলা- খারাপ। তাদের গ্যাং আছে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্দিষ্ট করে ভেনেজুয়েলার ‘ট্রেন দে আরাগুয়ার’ নাম উল্লেখ করেন। তিনি এটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ গ্যাং’ হিসেবে অভিহিত করেন।

জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর থেকে, ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো এবং ল্যাটিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি মাদক পাচারকারী সংগঠন ও অপরাধী গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেনেজুয়েলার ট্রেন দে আরাগুয়া এবং কার্টেল অব দ্য সানস, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট মাদুরো ও তার ঘনিষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা পরিচালনা করে। তবে কারাকাস সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ