রাজাকার-রাজাকার গালি দেওয়ার দিন শেষ: মিজানুর রহমান আজহারী
Published: 15th, February 2025 GMT
জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, রাজাকার-রাজাকার গালি দেওয়ার দিন শেষ। কী দিন আসলো, আল্লাহ আমাদের দেখাইছে। রাজাকার শব্দটি এখন অ্যাওয়ার্ড হয়ে গেছে। পরিস্থিতি পাল্টে দিতে আল্লাহর সময় লাগে না।
শনিবার বিকেল ৩টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহাসিক সার্কিট হাউজ মাঠে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর সামাজিক সংগঠন আল ইসলাম ট্রাস্ট আয়োজিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, আমাদের বলে মৌলবাদী। আমরা আসল কথা বলি, ভালো কথা বলি, দেশপ্রেমের কথা বলি, জনগণের কথা বলি, আমরা মা-মাটির কথা বলি, ইসলামের কথা বলি, দেশের সমৃদ্ধির কথা বলি। এজন্য আমাদের বলে মৌলবাদী। আবার আমাদের বলে ধর্ম ব্যবসায়ী। আমরা ধর্মের কথা প্রচার করি, যেটা দেশের জন্য, জনগণের জন্য ভালো।
তিনি আরও বলেন, যারা ইসলামের কথা বলে, কোরআনের কথা বলে তারা ধর্মব্যবসায়ী নয়। খবরদার আলেমদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না, নিজেকে ইসলামের বিরুদ্ধে দাঁড় করাবেন না। এদেশের আসল পরিচয় ইসলাম। ধৈর্য এমন এক গাছ, এই গাছের চারদিকে কাঁটা কিন্তু এই গাছের ফল সুমিষ্ট। আপনারা ১৬ বছর ধৈর্য ধরেছেন, ফল দিয়েছে আল্লাহ। বিপদ আসবে, জুলুম আসবে। ধৈর্যধারণ করবেন ফলাফল পেয়ে যাবেন।
এর আগে ড.
শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, আজ এই মঞ্চে বিএনপির প্রিন্স ভাই (বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স) জেলা বিএনপির পুরো টিম নিয়ে এসেছেন। জামায়াতের আকন্দ ভাই এসেছেন। বৈষম্যবিরোধীরাও এসেছে। এতে বুঝা যায় পুরো বাংলাদেশ আজকের এই মঞ্চে। এটা অনেক সুন্দর।
বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে আমন্ত্রিত মুফাসসির হিসেবে বক্তব্য রাখেন এটিএন বাংলার আলোচক শাহ ওয়ালী উল্লাহ, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের খতিব মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও কুমিল্লার মাওলানা মনিরুল ইসলাম মজুমদার।
উল্লেখ্য, আজহারীর মাহফিল উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহ নগরীতে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হয়। এতে নগরজুড়ে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় সার্কিট হাউজ মাঠসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় মোট ২২টি বড় পর্দায় এই মাহফিল সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এছাড়াও নগরীর জিলা স্কুল হোস্টেল মাঠে শুধু নারীদের বসার ব্যবস্থা করা হয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। আজহারীর বক্তৃতা প্রচারের জন্য প্রায় ২ শতাধিক মাইক লাগানো হয়েছে অনুষ্ঠানস্থলসহ আশপাশের এলাকায়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম জ ন র রহম ন আজহ র ম জ ন র রহম ন আজহ র ইসল ম র আম দ র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হলেন অধ্যাপক হযরত আলী
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এই পদে নিযুক্ত করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন উপাচার্য নিয়োগের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য ড. মো. হযরত আলীকে কুয়েটের উপাচার্য পদের রুটিন দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতা প্রাপ্য হবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।