জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আগামী বছর ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের (৫৫তম ব্যাচ) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা জাবিসহ অন্য তিনটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়ার প্রস্তাব করার কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান। এ ছাড়া অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। ১৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় সাংবাদিকদের অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যদি তার সমপর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মতি ও সহযোগিতা পায়, তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। আমরাও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে এখানে ভর্তি পরীক্ষা নিতে সহযোগিতা করব। প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা ও পরিদর্শকদের অঙ্গীকার ও মান রক্ষা করতে পারলে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব।’

আরও পড়ুনমেডিকেলে ভর্তিতে আবার সময় বৃদ্ধি১৭ ঘণ্টা আগে

উপাচার্য বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমরা চোখ বন্ধ করে ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বাস করতে পারি। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে আগামী ফোরামে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব দিতে চাই।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম আবদুর রব, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক শামসুল আলম, প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ রেজাউল রাকিব ও শৃঙ্খলা কমিটির অন্য সদস্যরা।

আরও পড়ুনবিদেশে পড়াশোনা, বিশ্ববিদ্যালয়–বিষয় বেছে নিতে অনুসরণ করুন এই ১২ ধাপ ২ ঘণ্টা আগে

৯ ফেব্রুয়ারি ‘ডি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান অনুষদ) মাধ্যমে জাবির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে ও ‘সি-১’ ইউনিট কলা ও মানবিক অনুষদ (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগ) এবং ‘বি’ ইউনিটের (সমাজবিজ্ঞান অনুষদ) পরীক্ষার মাধ্যমে ১৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) তা শেষ হবে।

উল্লেখ্য, এ বছরের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১ হাজার ৮১৪টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৪৫০টি। সেই হিসাবে প্রতিটি আসনের জন্য লড়বেন ১৪৫ জন শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল মাস্টার্স, ফি ৩০০ টাকা২২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপ চ র য পর ক ষ বর ষ র

এছাড়াও পড়ুন:

এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো: আনু মুহাম্মদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো। আইএমএফের প্রভাবে বাজেটে স্থানীয় শিল্পে ভ্যাট অব্যাহতি হ্রাস পেয়েছে। ট্রাম্প সাহেবকে খুশি করার চেষ্টা ছিলো এই বাজেটে। 

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি আয়োজিত ‘বাজেট: দেড় দশকের অভিজ্ঞতা ও অর্থনীতির গতিপথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আনু মুহাম্মদ বলেন, বাজেটে আয়ের জন্য ভ্যাট ট্যাক্স বাড়ানোর কথা বলা হয়। কিন্তু মার্কিন কোম্পানির কাছে আমাদের যে ক্ষতিপূরণ তা আদায় করতে হবে। মাগুরছড়া ও টেংরাটিলায় গ্যাস বিস্ফোরণে সম্পদ ও প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংসে যে ক্ষতি হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ আদায়ের কোন সরকারই চেষ্টা করেনি। এই ক্ষতিপূরণ আদায় অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ডিপি ওয়ার্লডের কাছে ছেড়ে দেওয়া তো শেখ হাসিনার প্রকল্প ছিল। ড. ইউনুস কেন তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইছেন? 

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য আনু মুহাম্মদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানে পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে, বর্তমান সরকারের বাজেটে সেই পরিবর্তনের সূচনা ঘটানোর কথা নেই। সম্পদ সংখ্যাগরিষ্ট জনগণের কাছ থেকে গিয়ে কিছু মানুষের কাছে পুঞ্জীভূত হয়। এবারের বাজেটেও সেই প্রবণতা দেখা গেছে।

তিনি আরও বলেন, এবারের বাজেটে প্রতারণা ও অস্বচ্ছতার যে চিত্র ফুটে উঠেছে, সেটা অব্যাহত থাকুক আমরা চাই না। আগামী ২২ জুন বাজেট অনুমোদনের আগে এর ত্রুটিগুলো দূর করতে হবে। বাজেটে জাতীয় সক্ষমতা সৃষ্টির ন্যূনতম উদ্যোগ নিতে হবে।

সভায় আইইউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ার ড. গোলাম রসুল বলেন, সত্যিকার অর্থে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এই বাজেটে তেমন কিছু নেই। কৃষিক্ষেত্রে বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে। কৃষিকে আমরা নানাভাবে আন্ডার ভ্যালু করে দিচ্ছি। স্বাস্থ্যখাতে এবার জনপ্রতি বাজেট বেড়েছে ২২ টাকা।

ট্রাম্পের পালটা শুল্ক বিষয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, সরকার বুঝেও না বুঝার ভান করছে। এটা আমাদের বিশাল বিপদে ফেলবে। 
সভায় আরও বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহা মির্জা,  চিকিৎসক ডা. হারুণ অর রশীদ, লেখক-গবেষক প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা ও মাহতাব উদ্দীন আহমেদ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫ আসামিকে বাদ দিতে হলফনামা, বাদী কৃষক দল নেতাকে শোকজ
  • এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো: আনু মুহাম্মদ