জন্মদিন সব মানুষের জন্য একটি বিশেষ দিন। এদিন সবাই পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে আনন্দে কাটাতে চান। কিন্তু এই দিনটি কেউ যদি কারাগারে কাটাতে চান, তাহলে অবাক হওয়ার বিষয় বটে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাসিন্দা লরেটা এমনটাই করলেন।

লরেটার বয়স ১০৪ বছর। থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের অ্যাভন নার্সিং হোম নামের একটি বৃদ্ধাশ্রমে। ১০ ফেব্রুয়ারি ছিল তাঁর ১০৪তম জন্মদিন। এদিন তাঁর ইচ্ছা ছিল, জন্মদিনটি তিনি কারাগারে কাটাবেন। তাঁর ইচ্ছানুযায়ী নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের একটি কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।

অঙ্গরাজ্যের রচেস্টার শহর থেকে ২৯ মাইল দক্ষিণে লিভিংস্টোন কাউন্টি শেরিফের কার্যালয় থেকে লরেটার কারাগার পরিদর্শনের বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

পুলিশ বিভাগ এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছে, লরেটা হচ্ছেন অ্যাভন নার্সিং হোমের বাসিন্দা। কেয়ার হোম কর্তৃপক্ষ জানতে চেয়েছিল, জন্মদিনে তিনি কী করতে চান। দিনটি কীভাবে কাটাতে তাঁর ইচ্ছা। তিনিও জানিয়ে দিলেন, জন্মদিনে তিনি কারাগারের ভেতরে যেতে চান। কারণ, তিনি জীবনে কখনো কারাগারের ভেতরে যাননি বা দেখেননি।

পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, ‘আমাদের কারাগারে লরেটার দারুণ সময় কেটেছে। তাঁর জন্মদিনের ইচ্ছা পূরণ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’

অ্যাভন নার্সিং হোম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান হার্লবাট কেয়ার কমিউনিটিস জন্মদিনে লরেটার কারাগারের নানা কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তুলে ধরেছে। তারা বলেছে, ‘লরেটা কারাগারে জন্মদিনের কেক কেটেছেন। কারাগারে ঢোকার সময় ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হয়েছে তাঁকে। সেখানে আসামির মতো করে তাঁর মাগ–শট (ছবি) তোলা হয়েছে। তাঁকে একটি কারাকক্ষে বেশ কিছু সময় আটকে রাখা হয়েছিল। কারাগারে তিনি কারা কর্মকর্তাদের অনেকের সঙ্গে দেখা করেছেন।’

নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ লরেটার ইচ্ছা পূরণে সহযোগিতা করায় লিভিংস্টোন কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়কে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। তাঁর জন্মদিনের নানা আয়োজনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দিয়েছে নার্সিং কর্তৃপক্ষ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান

ফিলিস্তিনের জনগণকে গণহত্যা ও নিষ্ঠুরতম বর্বরতা থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে পরিপূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

ফিলিস্তিন সংকটের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইসরায়েল এখন পর্যন্ত ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। তারা গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী সবাইকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের একমাত্র পথ হিসেবে দ্বি–রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

গাজা পুনর্গঠনে আরব দেশগুলোর পরিকল্পনাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের নেতৃত্বে গাজা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত রয়েছে। গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা সর্বাত্মকভাবে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান তিনি।

ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে নিউইয়র্কে তিন দিনব্যাপী ‘জাতিসংঘ হাই লেভেল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ফর দ্য পিসফুল সেটেলমেন্ট অব দ্য কোয়েশ্চেন অব প্যালেস্টাইন অ্যান্ড দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য টু স্টেট সল্যুশন’ শীর্ষক মন্ত্রীপর্যায়ের এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ ১১৮টি দেশের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নিচ্ছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিউইয়র্কে দিদারুলকে ‘গার্ড অব অনার’, হাজারো মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় শেষবিদায়
  • নিউইয়র্কের রাস্তায় নীল সোনম কাপুর
  • ভুল এলিভেটর, যাকে খুশি গুলি, যেন কোনো শুটিং গেম
  • যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে তাহলে কি ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠছে
  • ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান