আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে
Published: 17th, February 2025 GMT
রাজনীতি করবে রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটা সন্ত্রাসী বাহিনী। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না। আমরা জুলাইয়েও বলেছি– হয় আমরা থাকব, নয় আওয়ামী লীগ থাকবে। এর মাঝামাঝি কোনো অবস্থান নেই। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
রোববার রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার দাবিতে আয়োজিত নারী সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক কমিটির (জানাক) নারীবিষয়ক বিশেষ সেল।
জানাকের সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তা, জুলাই-আগস্টে শহীদদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত এবং ভবিষ্যতে হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট যেন জন্ম নিতে না পারে সে জন্য বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। জুলাই-আগস্টে হত্যাযজ্ঞ চালানোর ঘটনা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বিস্তারিত উঠে এসেছে। এই মানবতাবিরোধীদের সঠিক বিচারের আওতায় নিয়ে না এলে বাংলাদেশে নারী-পুরুষ কারোই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, সামনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আসছে, সেখানে নারী প্রতিনিধিদের বেশি সংযুক্ত করতে হবে। তারা স্থানীয় সরকারে মানুষের কথা শুনে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবে। নতুন সংবিধানে নারীদের হিস্যা বুঝে নিতে হবে এবং গণপরিষদে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। আমরা জুলাইয়েও বলেছি, হয় আমরা থাকব, নয় আওয়ামী লীগ থাকবে। এর মাঝামাঝি কোনো অবস্থান নেই। সোহেল তাজ বলুন, আর অমুক তাজ বলুন, কোনো তাজেই আর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।
কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব ডা.
নারী সেলের সদস্য তাসনুভা জাবীন বলেন, রাজনীতি করবে রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটা সন্ত্রাসী বাহিনী। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পার্থক্য থাকবে। তবে আওয়ামী লীগ প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সেলের সম্পাদক সাদিয়া ফারজানা দিনার সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্থা শারমীন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম, আশরেখা খাতুন প্রমুখ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
বরিশালের কোচ হচ্ছেন আশরাফুল
ক্রিকেটে দীর্ঘ দুই দশকের ক্যারিয়ার শেষে কোচিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। গত বছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে কোচিং করিয়েছেন আশরাফুল। কিছুদিন আগে গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুর রাইডার্সের কোচ হয়েছিলেন। এরই মধ্যে আইসিসির লেভেল-৩ কোচ শিক্ষা কোর্স শেষে সার্টিফিকেট পেয়েছেন।
এবার বড় ধৈর্ঘ্যর ক্রিকেটেও তাকে দেখা যাবে। অক্টোবরে জাতীয় ক্রিকেট লিগে বরিশাল বিভাগের কোচিংয়ের দায়িত্ব পেতে আগ্রহ দেখিয়েছেন আশরাফুল। বিসিবিরও ইচ্ছা আশরাফুল দলটির দায়িত্ব নিক। বিসিবির পরিচালক ও টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেছেন, ‘‘বরিশাল দলকে নিয়ে আমরা খুব সিরিয়াসলি চিন্তা করছি। সে (আশরাফুল) আগ্রহ দেখিয়েছে। সেই বলেছে কোচ হতে চায়। যেহেতু দুই বছর খেলেছে বরিশালে। আমরা তাকে সেখানে কোচ হিসেবে রাখার পরিকল্পনা করেছি।’’
তবে বরিশাল বিভাগের দল নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি আকরাম খানরা। গত বছর লিগ চলাকালীন নিয়মিত অধিনায়ক ফজলে মাহমুদ দল ছেড়ে চলে যান। পরবর্তীতে অধিনায়কত্ব না করার শর্তে খেলেন। পক্ষপাতমূলক অধিনায়কত্ব করার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।
আরো পড়ুন:
কোচিংয়ে আগ্রহ বাড়ছে ক্রিকেটারদের
ভারত সফরে ধোনি-কোহলিদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলবেন মেসি
সোহাগ গাজী যুক্ত হলেও পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। কোচ আশিকুর রহমানও দায়িত্ব ছেড়ে চলে যান। ড্রেসংরুমের অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়। যা বিসিবির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন কোচ, অধিনায়ক, ম্যানেজার। এ বছরের দল গঠন নিয়েই চরম বিপাকে।
ফজলে রাব্বী ও সোহাগ গাজীর আলাদা গ্রুপ তৈরি হওয়াতে বিসিবি পড়েছে জটিলতায়। তবে পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন আকরাম খান,
‘‘বরিশালকে নিয়েও আমরা আলাপ–আলোচনা করেছি। চিন্তাভাবনা করছি— যেহেতু অনেক...এরা ম্যানেজার নিয়ে খুশি না, কোচ নিয়ে খুশি না, অধিনায়ক নিয়ে খুশি না। খেলোয়াড়–খেলোয়াড় দ্বন্দ্ব আছে। এটা তো হওয়া আসলে উচিত না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এটা সিরিয়াসলি মনিটর করব— যদি দেখি কেউ ডিপ্রাইভ হচ্ছে।, খেলা নষ্ট হচ্ছে, বা মান সম্মান খারাপ হচ্ছে। তাহলে আমরা অ্যাকশন নেবো।’’
ঢাকা/ইয়াসিন