৫০২ দিন পর গোলের দেখা পেলেন নেইমার
Published: 17th, February 2025 GMT
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে গোলের দেখা পেলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। রোববার সাও পাওলো রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপে আগুয়া সান্তার বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করে নিজের প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় করে রাখেন তিনি।
চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরেছেন নেইমার। তবে প্রত্যাবর্তনের পর পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা চলছিল। অবশেষে ৫০২ দিন পর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে গোল করে সেই চাপ কিছুটা কমালেন ৩৩ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। সান্তোসের জার্সিতে এটি নেইমারের ২৩৪ ম্যাচে ১৩৯তম গোল।
ক্লাবটি ছেড়ে ২০১৩ সালে ইউরোপের পথ ধরেছিলেন তিনি, বার্সেলোনার হয়ে পা রাখেন ইউরোপিয়ান ফুটবলে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলালের হয়ে গোল করেছিলেন নেইমার। এরপর একাধিক ইনজুরির কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাকে।
আল-হিলালের হয়ে এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে মাত্র সাত ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন তিনি। চোটের কারণে ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে জানুয়ারিতে ব্রাজিলে ফিরে আসেন নেইমার। তবে ইনজুরি-জর্জরিত সময় কাটানোর পর তার ফিটনেস ও পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন ছিল।
এই ম্যাচে নেইমার শুধু গোলই করেননি, বরং একটি অ্যাসিস্টও করেন। ১৪তম মিনিটে বক্সের ভেতর প্রতিপক্ষের ফাউলের শিকার হয়ে পেনাল্টি আদায় করেন তিনি। পরে নিজেই শট নিয়ে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে ভুল পথে পাঠিয়ে বল জালে জড়ান। ম্যাচ শেষে নেইমারের দল সান্তোস ৩-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। তবে ইনজুরি কাটিয়ে কতটা ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেন নেইমার, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ধোনি কেন আইপিএল ছাড়তে পারছেন না: পেছনে হাজার কোটি টাকার খেলা
বয়স ৪৪, শরীরও আর আগের মতো চলছে না। তবু মহেন্দ্র সিং ধোনি আইপিএল ছাড়েননি। সর্বশেষ মৌসুমে খেলেছেন, শোনা যাচ্ছে, পরের মৌসুমেও খেলবেন। অথচ তাঁর মাঠের পারফরম্যান্স বলছে, সময় ফুরিয়েছে। তবু তিনি খেলে যাচ্ছেন কেন? ক্রিকেট ছাড়তে পারছেন না তাই? নাকি খ্যাতির মোহ? সত্যিটা এসবের চেয়েও বড়—ধোনি এখন শুধুই একজন ক্রিকেটার নন, তিনি একটি বিশাল অর্থনৈতিক ইকোসিস্টেমের মূল স্তম্ভ, যাঁর বিদায় মানে অনেক কিছুর ধস।
চলুন দেখা যাক, কীভাবে ধোনির একটুখানি মাঠে থাকা বদলে দেয় বিশাল অঙ্কের হিসাব।২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ব্র্যান্ড ভ্যালু ২০২৫ আইপিএল ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিটির ইতিহাসেই সবচেয়ে বাজে মৌসুম। পয়েন্ট তালিকায় একেবারে তলানিতে থেকে মৌসুম শেষ করেছে তারা। কিন্তু অবাক হওয়ার মতো ব্যাপার, এর কোনো প্রভাবই পড়েনি সিএসকের ব্র্যান্ড ভ্যালুতে; বরং সামান্য বেড়েছে!
হুলিহ্যান লোকির ‘আইপিএল ব্র্যান্ড ভ্যালুয়েশন স্টাডি ২০২৫’ প্রতিবেদন বলছে, ২০২৫ সালে সিএসকের ব্র্যান্ড ভ্যালু বেড়ে হয়েছে ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা ২০২৪ সালে ছিল ২৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। যদিও আইপিএলের সবচেয়ে দামি ফ্র্যাঞ্চাইজির র্যাঙ্কিংয়ে চেন্নাই ১ নম্বর থেকে তিনে নেমে গেছে, কিন্তু সেটা পুরোপুরি মাঠের পারফরম্যান্সের কারণে নয়।
তুলনা করে দেখা যাক—রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি) প্রথমবার আইপিএল জেতায় তাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি ৯০ লাখ ডলারে, উঠে এসেছে ১ নম্বরে। অথচ সিএসকে কিছু না করেই সেরা তিনে আছে শুধু একজনের জন্য—ঠিক ধরেছেন, এম এস ধোনি!
২০২৩ আইপিএলের একটি মুহূর্তই বলে দেয়, ধোনির উপস্থিতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে মাত্র ৩ বল খেলেছিলেন ধোনি, করেছিলেন ১২ রান। তাতেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ভিউয়ারশিপ পৌঁছায় ১ কোটি ৭০ লাখে, যা ছিল সে মৌসুমের সর্বোচ্চ। এমনকি টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচের ১ কোটি ৬০ লাখ ভিউয়ারকেও ছাপিয়ে গিয়েছিল ধোনির সেই ৩ বল স্থায়ী ইনিংসটা!
টিএএম মিডিয়া রিসার্চ বলছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরও ধোনি দিনে গড়ে বিভিন্ন প্লাটফর্মে ১৪ ঘণ্টা স্ক্রিন টাইম ধরে রেখেছেন। ২০২৪ সালে তিনি ৪২টি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন করেছেন, যা অমিতাভ বচ্চন (৪১) ও শাহরুখ খানের (৩৪) চেয়েও বেশি।