একটা সময় ছিল যখন নেইমার কোন ম্যাচে গোল না পেলে সেটা হতো সংবাদ। সময়ের পরিক্রমায় এই ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড গোল পেলেই বিশাল সংবাদ হচ্ছে। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) দিবাগত রাতে সাও পাওলোর অ্যাগুয়া সান্তা দলের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে জয়লাভ করেছে সান্তোস। এই ম্যাচে গোল করে ৫০২ দিনের গোল ক্ষরা কাটালেন তিনি।
এই গোলের আগে নেইমার এই ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর সবশেষ জালের ঠিকানা পেয়েছিলেন। এরমাঝে তিনি ফিটনেস জনিত কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন। মূলত ২০১৭ সালের আগস্টে বার্সেলোনা ছাড়ার পর থেকেই অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের কারণে ফিটনেস নিয়ে দারুণ ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে ব্রাজিলের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ এই স্কোরারকে।
অ্যাগুয়া সান্তার বিপক্ষে ম্যাচের ১৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন নেইমার। এরপর ২৬ মিনিটে থাচিয়ানো সান্তোসের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। বিরতিতে যাওয়ার আগে অ্যাগুয়া সান্তার নেতিনহো গোল করে স্কোর লাইন ২-১ করেন। ম্যাচের ৭০ মিনিটে নেইমারের পাস থেকে গুইলহারমে গোল করে ব্যবধান ৩-১ করেন।
আরো পড়ুন:
ব্রাজিলের ৬ গোল হজমে শুরু, শিরোপা জয়ে শেষ
টানাপোড়ন শেষে বিদ্রোহের অবসান
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল গ ল কর
এছাড়াও পড়ুন:
করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ
রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।
জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’
এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।