ঘরে ঝুলছিল নারী পুলিশ কনস্টেবলের মরদেহ
Published: 17th, February 2025 GMT
বান্দরবান শহরের বনরূপা পাড়া থেকে রুম্পা দাশ (৩০) নামে এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাতে ওই এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রুম্পা দাশ বান্দরবান সদর থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী সৌরভ দাশ কনস্টেবল হিসেবে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কর্মরত।
রুম্পা দাশের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ধর্মপুর এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, স্বামীসহ দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে শহরের বনরূপা পাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন রুম্পা দম্পতি। প্রতিদিনের মতো রোববার রাতের খাবার খেয়ে স্বামী সৌরভ দাশ সন্তানদের নিয়ে এক রুমে ও রুম্পা দাশ আলাদা রুম ঘুমাতে যায়। পরে তার দুই শিশু বাচ্চাসহ স্বামী ঘুমিয়ে পড়লে কোনো এক সময় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন রুম্পা দাশ। পরদিন সকালে স্বামী ঘুম থেকে উঠে ডাকাডাকি করলেও দরজা না খুললে দরজার ফাঁক দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে রুম্পা দাশের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় স্বামী। তবে পারিবারিক কলহের জেরে এই আত্মহত্যা হতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন স ট বল মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫