জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় মোবাইল ব্যবহার, ২ বোন আটক
Published: 17th, February 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষা চলাকালে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন— পারমিতা দত্ত ভুমি (১৭) ও তার বোন নিবেদিতা দত্ত (২১)। তারা কিশোরগঞ্জ সদরের বাসিন্দা।
জাবি প্রক্টর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পারমিতা মোবাইল দেখে উত্তরপত্র পূরণ করছিলেন। বিষয়টি কক্ষ পরিদর্শকের নজরে আসলে তিনি শৃঙ্খলা কমিটিকে জানান। পরে শৃঙ্খলা কমিটি ও প্রক্টরিয়াল বডি তাকে আটক করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, “পারমিতা নিয়মবহির্ভূতভাবে পরীক্ষার কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করেন। মোবাইল ফোন দেখে ওএমআর শিট পূরণ করায় তাকে আটক করা হয়। তিনি নিবেদিতাকে হোয়াটস অ্যাপে প্রশ্ন পাঠালে নিবেদিতা তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে থেকে উত্তর সরবরাহ করছিলেন। পরে তাদের দুইজনকেই আটক করা হয়।”
তিনি আরো বলেন, “মোবাইল কোর্ট না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তাদের আশুলিয়া থানা পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে। নিয়মানুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলা করবে।”
গত ৯ ফেব্রুয়ারি ডি ইউনিটের পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে জাবি ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয় এবং আজ বি ইউনিটের পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে শেষ হয়।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ২
বগুড়ায় মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জিতু ইসলামের বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে বগুড়া শহরের ফুলবাড়ী এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ জিতু ইসলামসহ দুইজনকে আটক করেছে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মুঞ্জু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের নাম শাকিল আহমেদ (৩২)। তিনি শিববাটি শাহি মসজিদ এলাকার হানিফ প্রামাণিকের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাকিল শিববাটি এলাকায় বাস করেন। তার এক কিশোরী কন্যাকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জিতু ইসলাম বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু জিতুর সঙ্গে শাকিল তার মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না। আজ দুপুরের দিকে ১০-১৫ জন যুবক শাকিলকে বাড়ি থেকে ফুলবাড়ী এলাকায় করতোয়া নদীর ঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে শাকিলকে বেদম মারধর করা হয়। পরে তাকে নদীর ঘাটে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। স্থানীয় লোকজন শাকিলকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দিলে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহত শাকিলের বড় বোন আশা বলেন, আমার ভাতিজি অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তাকে বিয়ের জন্য জিতু কিছুদিন পর পর আমার বড় ভাইয়ের কাছে প্রস্তাব দিত। আমার ভাই ১৪ বছরের মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় জিতু বাহিনীর লোকজন তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
শাকিলের খালাতো বোন জেসি বলেন, আমার খালাতো ভাই শাকিলের সাথে জিতু বাহিনীর দুপুরে এক দফা হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে শাকিল বাড়িতে এসে বলে আমাকে তোরা বাঁচা। জিতুরা আমাকে মেরে ফেলবে। এর কিছুক্ষণ পরেই ১৫/২০টি মোটর সাইকেলযোগে লোকজন এসে শাকিলকে তুলে নিয়ে যায়। আমরা প্রায় ৩ ঘণ্টা খোঁজের এক পর্যায়ে জানতে পারি শাকিলের মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেজিকেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মুঞ্জু বলেন, অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় শাকিল হোসেনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জিতু ইসলামসহ দুইজনকে আমরা আটক করেছি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কেউ জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।