বিপিএলের ১১তম আসরে টিকিট থেকে ১৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার মতো রেভিনিউ হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সোমবার বিসিবির এক ভিডিও বার্তায় এই তথ্য জানান তিনি। 

ফারুক আহমেদ জানান, এবারের বিপিএলে ১২ কোটি ২৫ লাখ টাকার মতো টিকিট বিক্রি হয়েছে। এছাড়া একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে তিন বছরের জন্য অনলাইন ই-টিকেটিং স্বর্ত বিক্রি করা হয়েছে। প্রতি বছর সেখান থেকে ১ কোটি টাকা পাবে বিসিবি। সব মিলিয়ে বিপিএলের টিকিট বিক্রি রেভিনিউ ১৩ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। 

তিনি আরও জানান, বিপিএলের আগের ১০ আসরে সব মিলিয়ে ১৫ কোটি টাকার মতো টিকিট বিক্রি হয়েছে। ওই তুলনায় এক আসরেই বিসিবি প্রায় সমপরিমাণ টিকিট বিক্রি থেকে রেভিনিউ করেছে। 

বিপিএলে অংশ নেওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি অনেক বছর ধরেই বিপিএলের রেভিনিউ ভাগাভাগি চাচ্ছে। বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, এখনই বিপিএলের সামগ্রিক রেভিনিউ শেয়ার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে টিকিট বিক্রি থেকে  অর্জিত রেভিনিউয়ের একটা বড় অংশ বিপিএলের সপ্তম আসরে অংশ নেওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। 

বিসিবি সভাপতি সোমবার ক্রিকেটের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সাবেক অধিনায়কদের বৈঠকে ডেকেছিলেন। সেখানে বিপিএলের জন্য নতুন উইন্ডো খোঁজার পরামর্শ এসেছে। যাতে বিদেশি লিগের সঙ্গে বিপিএলের সূচি সাংঘর্ষিক না হয় এবং মানসম্মত বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া যায়।

জানা গেছে, ওই সভায় ১৫ জন অধিনায়ককে ডাকা হয়েছিল। এর মধ্যে ৯ জন সভায় সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। কেউ কেউ জুম মিটিংয়ে বৈঠকে যুক্ত হয়েছিলেন। তবে রকিবুল ইসলাম, তামিম ইকবাল, খালেদ মাহমুদ সুজন সভায় অংশ নেননি।   

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ফ র ক আহম দ ব প এল র

এছাড়াও পড়ুন:

পরিবেশ রক্ষায় ‘বীজ বোমা’

পরিবেশ রক্ষায় অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছেন টাঙ্গাইলের তরুণ পরিবেশকর্মী ও সংগঠক মুঈদ হাসান তড়িৎ। সামাজিক সংগঠন ‘যুবদের জন্য ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন তিনি। ‘বীজ বোমা’ নামের এক বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃক্ষরোপণের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন তড়িৎ। 

সাধারণত মাটি দিয়ে ছোট বলের আকারে তৈরি করা হয় ‘বীজ বোমা’। এর ভেতরে থাকে বীজ, সার ও পুষ্টিকর উপাদান। এগুলো যেকোনো উন্মুক্ত স্থানে ছুড়ে দিলেই বৃষ্টির পর তা থেকে গাছ জন্ম নিতে পারে।

মুঈদ হাসান তড়িৎ বলেছেন, “আমাদের চারপাশে অনেক অনাবাদি জমি পড়ে আছে। এই জমিগুলোতে যদি আমরা সহজ পদ্ধতিতে গাছ লাগাতে পারি, তাহলে দ্রুত সবুজায়ন সম্ভব। সে ভাবনা থেকেই এই ‘বীজ বোমা’। যুবদের জন্য ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে বীজ বোমা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।”

এ উদ্যোগের মাধ্যমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও পরিবেশ বিষয়ে সচেতন করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তারা একত্রিত হয়ে শহরের নানা স্থানে বীজ বোমা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে যেমন গাছ বাড়ছে, তেমনই পরিবেশ সম্পর্কে তরুণদের সচেতনতাও তৈরি হচ্ছে।

পরিবেশবিদ ও সুশীলসমাজের সদস্যরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। পরিবেশকর্মী ডা. মুজিব রহমান বলেছেন, “কম খরচে ও সহজ উপায়ে সবুজায়নের কার্যকর পদ্ধতি বীজ বোমা। যদি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এ উদ্যোগে সহায়তা করে, তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।”

এছাড়া, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে মাত্র ১০ টাকায় ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন তড়িৎ ও তার সংগঠন। শতাধিক মানুষ পছন্দের গাছ মাত্র ১০ টাকায় ক্রয় করেছেন এ উদ্যোগ থেকে। 

তড়িতের এ উদ্যোগ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকে প্রশংসা করছেন এই অভিনব চিন্তার এবং একে আরো বড় পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

পরিবেশ রক্ষায় এক পা সামনে এগিয়েছে তড়িতের ‘বীজ বোমা’। এখন সবার এগিয়ে আসার সময়।

ঢাকা/কাওছার/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ